টিআইবি নিয়ে বললে মাথায় হাত পড়বে : ডেপুটি স্পিকার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
দুর্নীতিবিরোধী গবেষণা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বিদেশিদের শেখানো বুলি আওড়ায় বলে অভিযোগ করেছেন সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। সংসদের আইপিডি সম্মেলন কক্ষে সোমবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিদেশিরা যেভাব বুলি শিখিয়ে দেয় তারা সেভাবে তা আওড়ায়। আমরা (সংসদ সদস্য) সেভাবে করি না।
গত ২৮ আগস্ট দশম জাতীয় সংসদের ওপর টিআইবি পরিচালিত ‘পার্লামেন্টওয়াচ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দশম সংসদের প্রথম থেকে শেষ অধিবেশন (মোট ২৩টি) পর্যন্ত কোরাম সঙ্কটের কারণে মোট ১৯৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট অপচয় হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ১৬৩ কোটি ৫৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা।
২০১৪ সালের জানুয়ারির প্রথম থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করে টিআইবি। পরে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ টিআইবির ওই প্রতিবেদনকে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ বলেন।
ফজলে রাব্বী বলেন, কিছুদিন আগে টিআইবি সংসদ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। উনারা উনাদের মত করে কথা বলেন। উনাদের সম্পর্কে আমরা যদি বলি তাহলে তো মাথায় হাত পড়বে।
প্রস্তাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন-২০১৯’ নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় ডেপুটি স্পিকার টিআইবির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে কত টাকা বেতন নেন? আমরাও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে আইন পাস করি। কারও দয়ার টাকা নিয়ে নয়। জনগণের টাকায়, তাদের রায় নিয়ে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সভার আয়োজক পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান, অ্যারোমা দত্ত, আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, কাজী কানিজ সুলতানা।