November 25, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

টানা ৩ দিনের ছুটি, ভোটের আগে ঢাকা ছাড়বেন অনেকেই

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আজই (বৃহস্পতিবার) শেষ কর্মদিবস। তিনদিনের ছুটি শুরু হচ্ছে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি)। শুক্র ও শনিবার (৫ ও ৬ জানুয়ারি) সরকারি চাকরিজীবীদের সপ্তাহিক ছুটির দিন। এরপর রোববার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে সারাদেশে সাধারণ ছুটি। সেই হিসাবে ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি কাটাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, কাজকর্ম স্বাভাবিক চলছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও নির্ধারিত সময়েই উপস্থিত হয়েছেন।

জানা গেছে, তিনদিন ছুটির কারণে অনেকেই ঢাকা ছাড়বেন। সন্ধ্যার দিকে হয়তো বাস, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামাং দ্য ডিফারেন্স মিনিস্ট্রিস অ্যান্ড ডিভিশন্স’ এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকে দেওয়া ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি (রোববার) সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে সারাদেশে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রাজধানী ছাড়তে বাসস্ট্যান্ডে চাপ বাড়ছে। সন্ধ্যায় ভিড় হতে পারে।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বিভিন্ন বাসের টিকিট বিক্রি করা কমিশন এজেন্ট মো. আলী বলেন, ‘যাত্রী আসছে। টিকিটও বিক্রি হচ্ছে। তবে সন্ধ্যায় ভিড় হতে পারে বলে মনে করছি।’

এরই মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে ৭২ ঘণ্টা দেশজুড়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞা শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকবে।

একই সঙ্গে ট্যাক্সিক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলও বন্ধ থাকবে শনিবার মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন রোববার মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত। তবে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক বা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চলতে পারবে। এজন্য রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন নিতে হবে এবং স্টিকার প্রদর্শন করতে হবে।

বিআরটিএ আরও জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের বহনকারী যানবাহনের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন, ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও এ ধরনের কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন চলাচলে কোনো বাধা নেই।

এছাড়া বিদেশ থেকে দেশে আসা এবং বিদেশে যাওয়া ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনকে বহনকারী যানবাহন চলাচলে বাধা থাকবে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উড়োজাহাজের টিকিট দেখাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী এবং দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচলেও কোনো বাধা থাকছে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন: