টানা তিন সপ্তাহ শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী!
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। এ মারণ ভাইরাসটির নমুনা পরীক্ষায় টানা তিন সপ্তাহ শনাক্ত রোগীর হার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। গত ৮ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত (মহামারিকালীন ৪৫তম, ৪৬তম ও ৪৭তম সপ্তাহে) নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ, ৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এ তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রথম সপ্তাহে করোনার নমুনা পরীক্ষা কিছুটা কম হলেও পরের দুই সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বেড়েছে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
দেখা গেছে, ৪৬তম সপ্তাহে (৮-১৪ নভেম্বর) এক লাখ ২২ হাজার ১৯০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৪৮৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসময় ১ হাজার ৬৯০ জন সুস্থ ও ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
৪৭তম সপ্তাহে (১৫-২১ নভেম্বর) এক লাখ ২৮ হাজার ৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৫৮৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসময় ১ হাজার ৬৮৩ জন সুস্থ ও ৩১ জনের মৃত্যু হয়।
সবশেষ ৪৭তম সপ্তাহে (২২-২৮ নভেম্বর) এক লাখ ২৮ হাজার ২৬১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৬৯৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসময় ২ হাজার ১১৯ জন সুস্থ ও ২৫ জনের মৃত্যু হয়।
সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২২ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মারা যাওয়া এই ২৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ জন (৪০ শতাংশ) ও নারী ১৫ জন (৬০ শতাংশ)। তাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও ছিলেন।
এদিকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনই পুরুষ এবং তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৯৮০ জনে।
একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২২৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১১ জনে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।