ঝিনাইদহে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১০
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এতে কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের বারোবাজার নামক স্থানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আহতদের যশোর ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার জে কে পরিবহনের একটি বাসযাত্রী বাস নিয়ে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি বারোবাজার পার হয়ে আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে রাস্তার ওপর থাকা যাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রেক করে। এতে বাসটি উল্টে রাস্তার ওপরে পড়ে যায়। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক বাসের মাঝামাঝি সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ওপর আড়াআড়ি হয়ে উল্টে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই ১০ জন প্রাণ হারান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে কাজ করছিলাম। এসময় রাস্তার পার হচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। এসময় দ্রুতগতিতে আসা যাত্রীবাহী বাসটি তাকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রেক করে। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিকট শব্দে রাস্তার ওপরে আড়াআড়িভাবে উল্টে পড়ে। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক বাসের মাঝামাঝি ধাক্কা মারে। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসময় ট্রাকটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।’
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি কামাল হোসেন নামে বাসের এক বাসযাত্রী বলেন, ‘আমি যশোর শহরের চাঁচড়া মোড় থেকে বাসে উঠি। বাসটি বেপরোয়াভাবে চলছিল। সড়কের বারোবাজার শহর পার হয়ে কিছু আসতেই একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপরই বাসটি উল্টে পড়ে। এরপর কী হয়েছে আমি আর বলতে পারব না।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী বেলাল হোসেন বিজয় বলেন, ‘দুর্ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। বাসটি রাস্তার ওপর আড়াআড়িভাবে পড়ে ছিল। বাসের ভেতর আটকাপড়া আহত যাত্রীরা বের হওয়ার জন্য চিৎকার করছিলেন। হতাহতদের রক্তে রাস্তা তখন লাল হয়ে যায়।’
কালীগঞ্জ দমকল বাহিনীর স্টেশন অফিসার মামুনুর রশিদ জানান, ‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি বাসটি (ঢাকা মেট্রো গ-১১০২১৪) রাস্তার ওপর উল্টে পড়ে আছে। সেখান থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আহতদের যশোর ও কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’