জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা রোগীদের চিকিৎসায় খুমেকে পৃথক ‘ফ্লু কর্নার’
জয়নাল ফরাজী
জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার রোগীদের চিকিৎসায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে খোলা হয়েছে পৃথক ফ্লু কর্নার। হাসপাতালের অভ্যন্তরেই নির্মিত আইসিইউ ভবনের নিচতলায় এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এখানে রোগী দেখার কার্যক্রম শুরু হয়। করোনাভাইরাসের রোগের উপসর্গ আছে এমন- জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার রোগী যাতে হাসপাতালের সাধারণ রোগী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে সংক্রমণ না ছড়াতে পারে তাই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জ্বর সর্দি কাশি ও গলা ব্যথা নিয়ে যে সকল রোগী বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে তাদের করোনা ওয়ার্ডের নিচতলায় আলাদা টিকেট দিয়ে দুইজন চিকিৎসক দিয়ে আলাদা বর্হিবিভাগ সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চিকিৎসকরা ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা সহায়ক নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীরা প্রয়োজনীয় পিপিই পরে নির্দিষ্ট দূরত্বে রোগীদের রেখে তাদের সেবা দেয়া হচ্ছে। এতে জ্বর সর্দি কাশির জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও বিনামুল্যে দেয়া হচ্ছে এসকল রোগীদের। কোন রোগীর ট্রাভেল হিস্ট্রি থাকলে এবং তাদের কারো মধ্যে করোনার সন্দেহ তীব্র হলে তাদের ওয়ার্ডের দো-তলায় ভর্তির ব্যবস্থা করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় আইইডিসিআর এর মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে।
ফ্লু ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ জিল্লুর রহমান তরুণ বলেন, একটি যদ্ধে নেমেছি আমরা এই যদ্ধে চিকিৎসকরাই যোদ্ধা। এই পরিস্থিতিতে আমাদের জীবনে যতই ঝুঁকি থাকুক না কেন মানুষের জীবন বাচানোর যে শপথ নিয়েছি এই যুদ্ধে আমরাই জয়ী হবো ।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এটিএম মোর্শেদ বলেন, সিনিয়র চিকিৎসকরা একাধিকবার জরুরী সভা করে এমন একটি কার্যকরি উদ্যোগে নেয়া হয়েছে এতে একদিকে সাধারণ জ্বর সর্দি কাশি রোগীদের বিনা চিকিৎসায় ফিরে যেতে হবে না অন্য দিকে। করোনা আতংকে অন্য রোগীদেরও যাতে সেবা পেতে অসুবিধা না হয় সেটা নিশ্চিত হয়েছে। আমরা যদি পরীক্ষা নিরীক্ষা খুলনায় করতে পারতাম তাহলে আরও বেশি সেবা দিতে পারতাম। এছাড়া ফ্লু কর্নারে কর্মরত সকলকে সরবরাহ করা হয়েছে পারসোনাল প্রটেক্টেড ইকুইপমেন্ট (পিপিই)।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, ‘খুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে বিদেশফেরত ও তাদের সংস্পর্শে আসা ১৬৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪০ জন খুলনা মহানগরীতে, বাকি ১২৬ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিজ বাসা কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।’