জেলা প্রশাসক সম্মেলন শুরু হচ্ছে রবিবার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পাঁচ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামী রোববার (১৪ জুলাই)। প্রথমবারের মতো পাঁচ দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ২৪টি কার্য-অধিবেশনে ৩৩৩টি প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে হবে বিভিন্ন অধিবেশন।
এবার ডিসি সম্মেলনের সময় দু’দিন বাড়ানোর হয়েছে। পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মতো প্রধান বিচারপতি, স্পিকার ও তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও ডিসিদের বৈঠক হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এবারের ডিসি সম্মেলনের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
১৫ জুলাই সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের ডিসিদের দিক নির্দেশনা দেবেন রাষ্ট্রপতি। ১৬ জুলাই বিকালে সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতিদের সঙ্গে সৈজন্য সাক্ষাৎ করবেন ডিসিরা। এছাড়া ১৮ জুলাই বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে ডিসিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
১৭ জুলাই সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন হবে। ১৮ জুলাই বুধবার দুপরে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে হবে ডিসি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশন।
প্রতি বছর তিনদিন ধরে এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশের মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তথা ৬৪ জেলার ডিসিদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়ে আসছিলেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতি-নির্ধারকরা।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবছর ডিসি সম্মেলনে ২৯টি অধিবেশন হবে। এরমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন ২৪টি। কার্য-অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ ৫৪টি মন্ত্রণালয়-বিভাগ অংশ নেবে। কার্য-অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
এবারের ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ডিসি সম্মেলনে আলোচনার জন্য ৩৩৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, এবছর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রস্তাব পাওয়া গেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ সংক্রান্ত। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রস্তাব বেশি পাওয়া গেছে।
এছাড়াও ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও স¤প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় নিয়ে ডিসি সম্মেলনে আলোচনা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গতবছর ডিসি সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে ৯২ দশমিক ৯০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে।