জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস : ওআইসির নিন্দা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশান (ওআইসি)। গতকাল শনিবার সৌদি আরবের মক্কায় সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারকে সুরক্ষা দেয় না এমন যে কোনো সমাধানকেও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জেরাড কুশনার চলতি মাসের শেষের দিকে বাহরাইনের এক সম্মেলনে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট অবসানে তথাকথিত শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন। পরিকল্পনাটিকে ট্রাম্প ‘শতাব্দির সেরা চুক্তি’ হিসেবে দাবি করেছেন। এই পরিকল্পনার সব কিছুই ইসরায়েলের পক্ষে গেছে দাবি করে ফিলিস্তিনিরা একে প্রত্যাখ্যান করেছে। অবশ্য সৌদিসহ বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র কুশনারের ওই পরিকল্পনাকে সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল।
এক বিব্র“তিতে ওআইসি বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের অখন্ড জাতীয় অধিকার, যার মধ্যে স্বাধিকার এবং ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার আদায়ে’ ওআইসি সমর্থন দিয়ে আসছে।
সম্মেলনে সৌদি বাদশাহ সালমান বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার আগ পর্যন্ত ফিলিস্তিন আমাদের প্রধান ইস্যু।’
তিনি বলেন, ‘আল-কুদস আল শরিফের (জেরুজালেম) ঐতিহাসিক ও আইনি মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্থ করবে এমন যে কোনো পদক্ষেপকে আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’
গত বছর ইসরায়েলকে সমর্থন জানাতে আন্তর্জাতিক সব নিয়ম-নীতির লঙ্ঘন করে জেরুজালেম মার্কিন দূতাবাস খোলা হয় এবং একে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি নিয়ে গ্রেফ নিন্দার মধ্যেই নিজেদের কর্মকাণ্ড সীমিত করে রেখেছে আরব দেশগুলো এবং ওআইসি।