জুলাইতে শুরু হতে চলেছে “খুলনা হাই-টেক পার্কের” নির্মাণ কার্যক্রম
(ছবি প্রতীকী )
বিশেষ প্রতিবেদক
খুলনায় “খুলনা হাই-টেক পার্কের” নির্মাণকাজ আরম্ভ হতে চলেছে এই বছরের জুলাইতে।
বিগত কয়েক বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির ৪.১৫ একর জায়গার উপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রায় ১৫৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হতে চলেছে খুলনার এই হাই-টেক পার্কটি।
এক কর্মকর্তার সাথে কথোপকথনে তিনি জানান “ বিগত ১০ বছর ধরে সরকার এই পার্কটি নির্মাণের চেষ্টা করে চলেছে কিন্তু জায়গার অভাবে এটা সম্ভব হচ্ছিল না”
ছবি : বরাদ্দকৃত জায়গার অবস্থান।
খুলনার রূপসা নদীর পূর্বে অবস্থিত দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরিটি ১৮ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৫৫ সালে। কিন্তু মালিকানা সম্পর্কিত ও নানাবিধ সমস্যার জন্য ফ্যাক্টরিটি ২০১০ সালের আগস্ট মাস থেকে বন্ধ হয়ে আছে । এর পর থেকে জেলা প্রশাসন এর দায়িত্বভার গ্রহন করে যেটি কর্মকর্তাটি থেকে জানা যায় ।
হাই-টেক পার্কটি তৈরি করতে সময় লাগবে প্রায় ৩ বছর, যার মুল লক্ষ্য হল শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি করা ।
খুলনা হাই-টেক পার্কের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর এমডি গোলাম মোস্তফা জানান, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে একটি পরামর্শ সংস্থা পার্কটির ডিজাইন এবং ড্রয়িং তৈরি করছে। খুব শিগ্রহী পার্কটি নির্মাণের টেন্ডার ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরো জানান, অত্যাধুনিক এই পার্কটি গঠিত হবে একটি ২০,০০ স্কোয়ার ফুটের ৭ তলা ভবন ও আরেকটি ১৮,০০০ ফুটের ৩ তলা ভবনের সমন্বয়ে এবং এগুলোর সাথে আরো তৈরি করা হবে গ্যারেজ, রাস্তা ও কর্মকর্তাদের জন্য একটি ডরমিটরি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ হেলাল হোসেন জানান, প্রোজেক্টটি ৬ মাস আগে একনেকে অনুমোদিত হয় যার ব্যয় ভার দাঁড়ায় ১৫৪ কোটি টাকা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রোজেক্টটি জুলাই মাসে উদ্বোধন করবেন। প্রায় ৭,৫০০ শিক্ষিত যুবক এই প্রোজেক্ট শেষে চাকরি পাবে বলে তিনি আশাব্যাক্ত করেন।
তিনি আরো জানান হাই-টেক পার্কটিতে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি থাকবে যেগুলো ব্যাবহার করে এ অঞ্চলের সব শিক্ষিত যুবক, ছেলে এবং মেয়েরা নিজেদেরকে আইসিটি জগতে স্বয়ং সম্পূর্ণ ও আত্ম নির্ভরশীল করে তুলতে সক্ষম হবে ।
এর আগে এ বছরের এপ্রিলে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক পার্কটির জায়গা পরিদর্শনে এসেছিলেন ।
ইতিপূর্বের দক্ষ জনবল গড়ার লক্ষে ৩৬৫ জন যুবককে বিনামূল্যে ২ সপ্তাহের আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যার ভেতর ছিল ফ্রিল্যান্সিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পকিত বিষয়বস্তু ।