জুভেন্টাস ছেড়ে বায়ার্নে ডি লিখট
ইতালির জুভেন্টাস ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখে পাড়ি জমালেন মাটাইস ডি লিখট। বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি’র বিনিময়ে তিন বছরের জন্য এই ডাচ সেন্টার-ব্যাককে দলে ভিড়িয়েছে বাভারিয়ানরা।
জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি অনুযায়ী, ডি লিখটকে আনতে সবমিলিয়ে ৮০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে বায়ার্ন। এর মধ্যে ৭০ মিলিয়ন ইউরো নিশ্চিত, আর বাকি অর্থ পারফরম্যান্স বোনাস হিসেবে পাবে তুরিনের বুড়িরা।
বায়ার্নে নাম লিখিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিচ্ছেন ডি লিখট, যেখানে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি নিতে বেশকিছু প্রীতি ম্যাচ খেলছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। টানা নয়বার বুন্ডেসলিগা জয়ী দলটি এবার জার্মানি ও ইউরোপের সব শিরোপা জেতার লক্ষ্যেই দল গঠন করছে।
সাবেক জুভেন্টাস সেন্টার-ব্যাক যোগ দেওয়ায় বায়ার্নের শক্তিমত্তা আরও বাড়বে সন্দেহ নেই। এরইমধ্যে এই গ্রীষ্মেই দলটিতে যোগ দিয়েছেন সাদিও মানে (লিভারপুল থেকে), নওসাইর মাজরাউই এবং রায়ান গ্রেভেনবার্চ (আয়াক্স থেকে)।
এবারের গ্রীষ্মের দলবদলে সবচেয়ে বেশি ট্রান্সফার ফি খরচ হয়েছে এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে ডি লিখট একজন। এর আগে চৌমেনিকে রিয়াল মাদ্রিদ ৮০ মিলিয়ন ইউরোয় এবং ডারউইন নুনেজকে লিভারপুল ৭৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে দলে ভিড়িয়েছে। নুনেজের ক্ষেত্রে অবশ্য আরও ২৫ মিলিয়ন ইউরো পারফরম্যান্স বোনাস হিসেবে যোগ হবে। এছাড়া ৬০ মিলিয়ন ইউরোয় আর্লিং হল্যান্ডকে ৬০ মিলিয়ন ইউরোয় ম্যানচেস্টার সিটি এবং রবার্ট লেভানডফস্কিকে বায়ার্নের কাছ থেকে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোয় কিনেছে বার্সেলোনা।
বায়ার্নে যোগ দিয়েই ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন ডি লিখট। ফুটবল ইতিহাসের তৃতীয় দামি সেন্টার-ব্যাক এখন এই ডাচম্যান। তার আগে আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হ্যারি ম্যাগুইর (৮৭ মিলিয়ন ইউরো) এবং লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডাইক (৮৪.৬ মিলিয়ন ইউরো)। আর ডি লিখটের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে আছেন বায়ার্নের লুকাস হার্নান্দেস (৮০ মিলিয়ন ইউরো)।