জি কে শামীমের জামিন ‘নাম বিভ্রাটে’, আদেশ প্রত্যাহার
অস্ত্র মামলায় ঠিকাদার জি কে শামীমের জামিনের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে হাই কোর্ট, মাদকের মামলাতেও একই ধরনের আদেশ আসছে বলে রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে।
দুই মামলায় এক মাস আগে শামীমের জামিন পাওয়ার খবর নিয়ে দুদিন ধরে তুমুল আলোচনার মধ্যে রোববার হাই কোর্টের এ সিদ্ধান্ত এলো।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এদিন স্বপ্রণোদিত হয়ে অস্ত্র মামলার জামিন আদেশ প্রত্যাহার (রিকল) করে বলেছে, ‘নাম বিভ্রাটে’ হয়ত বুঝতে সমস্যা হয়েছিল।
আদালতে এদিন শামীমের পক্ষে ছিলেন মমতাজ উদ্দিন মেহেদী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ফজলুর রহমান খান।
দুপুরে আদালত বসলে শুরুতেই এফ আর খান বলেন, “এই মামলায় (অস্ত্র মামলায়) জামিন আবেদনকারীর নাম লেখা আছে এস এম গোলাম কিবরিয়া। কিন্তু আদালতের ওই দিনের (৬ ফেব্রুয়ারি) কার্যতালিকায় নাম ছিল শুধু এস এম গোলাম।
এরপর জিকে শামীমের আইনজীবী মেহেদী আদালতকে বলেন, জামিন আদেশের দিন ওইসময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান আদালতেই ছিলেন না।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক তখন বলেন, “কার্যতালিকায় নামের বিভ্রাট আছে। এ কারণে হয়তো বিভ্রান্তি হয়েছে। আমাদের হয়ত বুঝতে সেদিন ভুল হয়েছে। তাই আমরা জামিনের অর্ডারটি রিকল (প্রত্যাহার ) করলাম।”
ডিএজি ফজলুর রহমান শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, জি কে শামীমের জামিনের বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের জানা নেই।
আর রোববার জামিন আদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর তিনি বলেন, “নাম নিয়ে বিভ্রাট হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ হয়ত তখন বুঝতে পারেনি।”
একই ধরনের কথা বলেন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাই কোর্ট বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ডিএজি জান্নাতুল ফেরদৌস। ওই আদালত থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি জি কে শামীমকে মাদক মামলায় এক বছরের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেওয়া হয়।
ডিএজি জান্নাত রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি নলেজে আসার পর আদালত আদেশ রিকল করেছেন।”
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। কোর্ট রিকল না করলে আমরা আপিল বিভাগে যেতাম।”