জি কে শামীমের চার দেহরক্ষীর অস্ত্রের লাইসেন্স কীভাবে?
ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের চার দেহরক্ষী কীভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে তাদের আয়কর রিটার্ন সম্পকেও তথ্য আগামী ৫ মার্চের মধ্যে আদালতে জানাতে হবে।
ওই চারজনের করা জামিন আবেদনের রুল শুনানিতে মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম সরদার।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, জি কে শামীমের চার দেহরক্ষী কীভাবে এবং কোন যোগ্যতায় অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের আয়কর রিটার্নের তথ্য এবং তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা কেন হয়েছে, সেই সব বিষয়ে আগামী ৫ মার্চ হলফনামা আকারে হাইকোর্টে দাখিল করার জন্য তাদের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি তাদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। জামিন আবেদনকারী আসামিরা হলেন- মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন এবং মো. শামশাদ হোসেন।
২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করলে তারা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
মামলার এজাহারের কথা উল্লেখ করে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, জি কে শামীমকে অবৈধ চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়া ব্যবসায়ী (ক্যাসিনো)। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আর এই আসামিরা হলেন তার এসব কর্মের সহযোগী। তাদের আটক করে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার মামলা দায়ের করে পুলিশ।