জি কে শামীমের অফিসে বিপুল টাকা, মদ, অস্ত্র
যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি চালিয়ে আসা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, অস্ত্র ও মদ পেয়েছে র্যাব।
শামীমের পাশাপাশি তার কয়েকজন দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়েছে বলে র্যাবের একাধিক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার দুপুরের আগে নিকেতনের ওই ভবন ঘিরে তাদের অভিযান শুরু হয়। অভিযান শেষ হলে তারা বিস্তারিত জানাবেন।
র্যাবের নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলমও এই অভিযানে উপস্থিত আছেন। তিনি বলেছেন, শামীমসহ মোট সাতজনকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
শামীমের অফিস কক্ষে কয়েক কোটি নগদ টাকার পাশাপাশি কয়েকশ কোটি টাকার এফডিআরের নথি পাওয়ার কথাও র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অংক তারা বলেননি।
শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। গণপূর্ত ভবনে ঠিকাদারি কাজে তার দাপটের খবর ইতোমধ্যে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এক সময় যুবদলের রাজনীতি করা শামীম পরে যুবলীগে ভেড়েন। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক পরিচয় দিয়েই তিনি প্রভাব খাটিয়ে আসছিলেন।
তবে যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু বলেন, “যুবলীগে জি কে শামীমের কোনো পদ নেই। সে নিজেই নিজেকে সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বলে বেড়াতো। এ নিয়ে যুবলীগে কয়েকবার আলোচনাও হয়েছে।”
বাবলু বলেন, “জিকে শামীম এক সময় যুবদলের সাবেক সহ সম্পাদক ছিল। এখন সে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বলে শুনেছি।”
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, “জিকে শামীম নামে আমাদের কোনো সহ সভাপতি বা সদস্যও নাই।”
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার দক্ষিণপাড়া গ্রামের মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে শামীম থাকেন বনানীর ডিওএইচএসে। আর নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনটি তিনি তার জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের অফিস হিসেবে ব্যবহার করেন।
তার চলাফেরার সময় শটগানধারী ছয় দেহরক্ষীর ‘প্রটেকশন’ নিয়ে শুক্রবার সকালেই কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাকে বৃহস্পতিবারই আটক করেছে বলে গুঞ্জন শোনা গেলেও র্যাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।