September 19, 2024
খেলাধুলা

‘জিং বেল’ বিতর্কে সরব কোহলি-ফিঞ্চ

 

 

 

ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্বকাপের এবারের আসরে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না। প্রথমে ধোনির গ্লাভসের পর বাজে আম্পায়ারিং বিতর্ক। এখন আবার নতুন করে উঠে এসেছে বেল বিতর্ক। স্ট্যাম্পে লাগলেও পড়ছে না বেল। বারবার এরকম জিনিস দেখে এক প্রকার হতবাকই হয়ে গেছেন বোলাররা।

বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত পাঁচবার বল স্ট্যাম্পে লাগলেও বেল জ্বলেনি/পড়েনি। এমন নয় যে বোলাররা কম গতিতে বল করছেন। যখন মিচেল স্টার্কের ১৪০+ কি.মি. বল স্টাম্পে লেগেও বেল পড়ে না তখন এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। তাই এই বিষয়ে সমালোচনা করতে একটুও ছাড় দিলেন না ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর একটি ডেলিভারি অজি ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার খেলতে না পারায় স্ট্যাম্পে লাগে বল। কিন্তু পড়েনি বেল। আর এই কারণে হতাশ হয়েই বোলিং রানআপে ফিরতে হয় ভারতের পেসার বুমরাহকে।

এ বিষয়ে সমালোচনা করে ভারতের অধিনায়ক কোহলি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন ভুল কোনভাবেই আশা করা যায় না। আমি মনে করি প্রযুক্তির ব্যবহার দারুণ। স্ট্যাম্পের সাথে আপনি যদি কিছু করে থাকেন তাহলে নিমিষেই বাতি জ্বলে উঠবে। কিন্তু সেটার জন্য আপনাকে জোরে আঘাত করতে হবে। আর সেটা আমি ব্যাটসম্যান হিসেবেই বলছি। যার বল করেছে তারা সবাই ফাস্ট বোলার কেউই মিডিয়াম পেস বোলার নয়।’

কোহলি আরও বলেন, ‘ধোনি আমাকে বলেছিল যে আমরা স্ট্যাম্পের গর্ত ভালোভাবেই চেক করেছি। স্ট্যাম্প খুব একটা শক্ত ছিল না, তবে কিছুটা ঢিলা ছিল। তাই আমি জানি না স্ট্যাম্পে ভুল কী আছে। আমি কখনোই এরকম ঘটনা বারবার ঘটতে দেখিনি। এটা কোন দলই স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারবে না।’

স্ট্যাম্প বিতর্ক নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলেন, ‘গতকাল (রোববার) আমরা ঠিক পথেই ছিলাম কিন্তু একটা সময় ব্যাপারটা অনিরপেক্ষ ছিল। তাই নয় কি? আমি জানি ওয়ার্নারের স্ট্যাম্প খুব জোরে আঘাত করা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাপারটা বারবার ঘটেই যাচ্ছে। যেটা দুর্ভাগ্যজনক। কারণ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে এরকমটা দেখলে আপনি কখনো মানতে পারবেন না। যখন আপনি এত কঠিন পরিশ্রমে বল করেও ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারেন না। আমি জানিনা বেলকে কতটা হালকা বানাতে পারে তারা।’

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *