November 24, 2024
জাতীয়

‘জাহালম’ চলচ্চিত্র নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা চাইবে দুদক

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বিচারাধীন বিষয়- যুক্তিতে জাহালমকাণ্ড নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির প্রধান কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান সোমবার  বলেন, সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি নিয়ে মঙ্গলবার হলফনামা আকারে দাখিল করা হবে।

সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় পাটকল শ্রমিক জাহালমকে আবু সালেক হিসেবে চিহ্নিত করে ২৬টি মামলা করে দুদক। পরে ২০১৬ সালের ৬ ফেব্র“য়ারি জাহালমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অন্যের অপরাধে তিন বছর ধরে জেল থাকা জাহালমকে নিয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেল ও দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী হাই কোর্টের নজরে আনলে গত ৩ ফেব্র“য়ারি আদালত তাকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। আদালতের আদেশর পর রাতেই কাশিমপুর কারাগার থেকে জাহালম মুক্তি পান। জাহালমের জীবনের এই গল্প নিয়েই চলচ্চিত্র নির্মাণের সিদ্ধান্তের কথা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন মারিয়া তুষার নামের একজন নির্মাতা।

জানা গেছে, এরই মধ্যে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে নাম নিবন্ধন করেছেন এই পরিচালক। সিনেমার নামও রেখেছেন ‘জাহালম’। তবে জাহালমই জানেন না, তাকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমা।

খুরশীদ আলম খান বলেন, স¤প্রতি দু’টি সংবাদপত্রের খবরে এসেছে জাহালমের জীবনের গল্প নিয়ে সিনেমা বানাতে যাচ্ছেন কোনো এক পরিচালক। এখানে দুদকের আপত্তি হচ্ছে, জাহালমের ঘটনাটি এখনও বিচারাধীন। ফলে সাবজুডিস কোনো বিষয় নিযে সিনেমা হতে পারে না। তাই পত্রিকায় প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদন যুক্ত করে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করতে যাচ্ছি। কাল আবেদন করা হবে।

এদিকে এই ঘটনায় দুদকের করা সব মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (এফআইআর), অভিযোগপত্রসহ (সিএস) যাবতীয় নথি চেয়েছে হাই কোর্ট। নির্দেশ আছে, আগামী ১০ এপ্রিল তা আদালতে নিয়ে আসতে হবে দুদককে।

আসামি না হয়েও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পাটকলকর্মী জাহালমের তিন বছর কারাবাসের ঘটনায় গত ৫ মার্চ দুদক হলফনামা আকারে ব্যাখ্যা দাখিল করে। পরদিন তার ওপর শুনানির পর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ পরে এ আদেশ দেয়।

জাহালমকাণ্ডে দুদকের ভূমিকায় ওইসময় উষ্মা প্রকাশ করে হাই কোর্ট দুদকের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলে, বিনা অপরাধে জাহালমের কারাবাসের দায় দুদকের এড়ানোর সুযোগ নেই। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবুড়িয়া গ্রামের জাহালম নরসিংদীর একটি পাটকলে কাজ করতেন। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকতেন সেখানে।

২০১৬ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের এক মামলার আসামি ‘আবু সালেক’ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় জাহালমকে। জাহালমের ভাষ্য, তখন তিনি বারবার বলছিলেন যে তিনি সালেক নন, কিন্তু তাতে কান দেননি দুদক কর্মকর্তারা।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *