জাহাজ বাড়ির মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ঢাকার কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটিতে অভিযোগপত্র জমার দেওয়ার পর বিচারের জন্য ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে। তিন বছর আগে জাহাজ বাড়ি নামে পরিচিত ওই ভবনে রাতভর অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তাতে ৯ জন নিহত হন, যারা নব্য জেএমবির সদস্য বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানায়।
গত ১১ এপ্রিলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস সই করে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতকদের গ্রেপ্তার করা গেল কি না, সে বিষয়ে পুলিশের কাছে প্রতিবেদন চাইবেন। গ্রেপ্তার করা না গেলে তাদের সম্পত্তি ক্রোক ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেবেন। এরপর অভিযোগ গঠনের মথ্য দিয়ে শুরু হবে বিচার।
তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন।
আসামিরা হলেন- রাকিকুল হাসান রিগ্যান (২১), সালাহ উদ্দিন কামরান (৩০), আব্দুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ (২০), শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০), আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুলা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুলমেন (৩৩) ও হাদিসুর রহমান সাগর (৪০)।
এদের মধ্যে শরীফুল ইসলাম খালেদ, মামুনুর রশিদ রিপন ও আজাদুল কবিরাজ এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
জাহাজ বাড়িতে অভিযানে নিহত ৯ জন এবং নারায়ণগঞ্জে নিহত তামিম চৌধুরী ও আশুলিয়ায় নিহত সরোয়ার জাহানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০১৬ সালের ২৫ জুলাই কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে জাহাজ বাড়িতে রাতভর অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সকালে এক ঘণ্টার মূল অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হন। আহত হন রিগ্যান নামে আরও একজন। অভিযানের দুদিন পর মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. শাহ জালাল আলম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।