জার্মান কিংবদন্তি জার্ড মুলার আর নেই
পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেলেন জার্মান ফুটবলের কিংবদন্তি জার্ড মুলার। বিশ্বকাপজয়ী এই খেলোয়াড়ের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
‘দা গ্রেটেস্ট গোলস্কোরার’ হিসেবে পরিচিত সাবেক এই ফুটবলারের ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ খবরটি নিশ্চিত করে। স্থানীয় সময় রোববার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুলার।
ক্যারিয়ারে তিনি রেকর্ড গড়েছেন অনেক। মাঠে নেমেই গোল করাই যেন ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় কাজ। পরিসংখ্যানেও যা ফুটে উঠেছে খুব ভালোভাবে।
১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল (১০টি) করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন মুলার। সেই বছর জেতেন ব্যালন ডি’অর। ১৯৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির জয়সূচক গোলটিও তিনিই করেছিলেন। নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেবার শিরোপা জিতেছিল সেই সময়ের পশ্চিম জার্মানি।
২০১২ সালে লিওনেল মেসি ছাড়িয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এক বর্ষপঞ্জিতে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি মুলারেরই ছিল। রেকর্ড গড়া ৮৫ গোল তিনি করেছিলেন ১৯৭২ সালে।
বুন্ডেসলিগায় তার এক আসরে সবচেয়ে বেশি ৪০ গোলের রেকর্ডটি টিকে ছিল ৪৯ বছর। গত মে মাসে ওই রেকর্ড ভাঙেন বায়ার্নেরই বর্তমান তারকা রবের্ত লেভানদোভস্কি। বায়ার্ন মিউনিখের কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ জার্ড মুলার।
পশ্চিম জার্মানির হয়ে ৬২টি ম্যাচ খেলে ৬৮ গোল করেছিলেন মুলার। ‘দ্য বোম্বার’ নামে পরিচিত সাবেক এই স্ট্রাইকার ক্লাব ক্যারিয়ারে করেন ৬৫০ গোল।
ক্লাব ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় তিনি কাটিয়েছিলেন বায়ার্নে। ১৯৬৪-৭৯ পর্যন্ত মেয়াদে ক্লাবটির ৬০৭টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলে গোল করেছিলেন ৫৬৬টি। বুন্ডেসলিগায় করেছিলেন রেকর্ড ৩৬৫টি গোল। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় এখনও তাকে ছাড়াতে পারেনি কেউ। জার্মানির শীর্ষ এই লিগে সবচেয়ে বেশিবার আসরের সেরা গোলদাতা হওয়ার রেকর্ডটি তার দখলে, সাতবার।
এমন একজন কিংবদন্তির চলে যাওয়ার দিনটিকে বায়ার্নের কালো দিন হিসেবে অভিহিত করেছেন বায়ার্ন সভাপতি হেরবের্ট হাইনার।
“আজ বায়ার্ন ও এর সব সমর্থকদের জন্য শোকের দিন, কালো দিন। জার্ড মুলার ইতিহাসে সেরা স্ট্রাইকার এবং দারুণ একজন মানুষ, বিশ্ব ফুটবলের এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব।”
পশ্চিম জার্মানির হয়ে ১৯৭২ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী মুলার বায়ার্নের হয়ে জিতেছিলেন চারটি বুন্ডেসলিগা ও তিনটি ইউরোপিয়ান কাপ(চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পূর্বের সংস্করণ) সহ মোট ১৪টি শিরোপা।