জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের চার মামলা
রাজধানীর মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় পুলিশের কাজে বাধা, হামলা ও বিস্ফোরণের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিন থানায় চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি, খিলগাঁও থানায় দুইটি ও শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। চারটি মামলারই বাদী পুলিশ।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, শুক্রবার জামায়াতে ইসলামী অনুমতি না নিয়েই গণমিছিল শুরু করে। গণমিছিল থেকে জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ও মারধর করা হয়। এতে অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনার পর শুক্রবার রাতে ও সকালে রাজধানীল তিন থানায় চারটি মামলা করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, দুইটি মামলা হয়েছে। একটি দণ্ডবিধি ও আরেকটি বিস্ফোরক আইনে। এ ঘটনায় এরইমধ্যে দুইজন গ্রেফতার রয়েছেন। খিলগাঁও থানার দুই মামলার বাদী এসআই রেজাউল ইসলাম। দুই মামলায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।
শাহজাহানপুর থানার ডিউটি অফিসার জানান, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয়দের।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-৩৫৷ বাদী এসআই মারুফ হোসেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে হাতেনাতে গ্রেফতার চারজনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেকে।
এদিকে, জামায়াতের মিছিল থেকে হামলার ঘটনাকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, জামায়াতে ইসলামী পুলিশের কাছ থেকে গণমিছিলের অনুমতি নেয়নি। আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। যেহেতু তারা বিনা অনুমোদনে একটা মিছিল বের করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা করা হবে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। এভাবে বেআইনি কাজ করা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার বিষয়ে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
শুক্রবার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারির ব্যর্থতা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি ছিল না বিষয়টি এরকম নয়। আমারা কিছু তথ্য পেয়েছিলাম। তারা (জামায়াতের নেতাকর্মীরা) বিভিন্নভাবে ছড়িয়েছে, তারা বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে মিছিল করবে। কিন্তু তারা মালিবাগ চৌধুরীপাড়া আবুল হোটেলের সামনে থেকে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা পেয়ে মৌচাক-মালিবাগে এসে মিছিল করে।