জাতীয় স্বার্থ নিয়ে ‘খেলছেন’ ইমরান খান, বললেন আহসান ইকবাল
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য জাতীয় স্বার্থ নিয়ে খেলছেন বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী আহসান ইকবাল। রোববার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
লাহোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোনো রাজনীতিবিদের ক্ষমতা হারানোর পর এমন শিশুসুলভ আচরণ শোভনীয় নয়। তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে রেখেছিলেন।
এসময় আহসান ইকবাল আরও বলেন, দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি) এরই মধ্যে ইমরান খানের বিদেশি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আহসান ইকবাল বলেন পাকিস্তান যদি শক্তিশালী দেশ হতে চায়, তাহলে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি থাকা দরকার। তিনি বলেন, এটি তখনই ঘটতে পারে যখন বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবে তার দেশ।
পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের অভিযোগ বিদেশি-সমর্থিত ষড়যন্ত্রের ফলে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে তাকে। বিদেশি অনুদানের মামলায় ফাঁসিয়ে আমদানি করা সরকার তার দলকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরাতে চাইছেও বলে অভিযোগ করেন তিনি। ইসলামাবাদ সমাবেশেরও ডাক দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইমরান খান। শিগগির নির্বাচন দেওয়ারও দাবি জানাচ্ছেন পিটিআই চেয়ারম্যান।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মূলত ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। অতীতের ধারা অনুসরণ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনও হয়েছে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই।
পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নিয়েছেন ক্ষমতা থেকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার শুনানি হতে পারে। রাজনীতির লড়াইয়ে গ্রেফতারও হতে পারেন পাকিস্তানের এই সাবেক ক্যাপ্টেন।