January 20, 2025
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতির খসড়া অনুমোদন

‘জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি-২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (১০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল বাংলার মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র ও উন্নত জীবনের অধিকারী হয়। বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পুষ্টিস্তর উন্নয়নকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে এ বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।’

‘সাম্প্রতিকালে বাংলাদেশ প্রধান খাদ্যশস্য উৎপাদনে টেকসইভাবে সক্ষমতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। সেজন্য পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য সরকার অনেক দিন থেকেই জোর দিচ্ছে। এই নীতি গ্রহণের ফলে মানুষের পুষ্টি উন্নয়নের জন্য আরও সুদৃঢ় ও ইফেকটিভ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এসডিজির সঙ্গে কিছু দৃষ্টি দিতে হয়েছে। কারণ পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে এসডিজির গোলগুলোও আছে, এসবের সঙ্গে সঙ্গতি রাখা হয়েছে। পুষ্টি নিরাপত্তা নীতিতে খাদ্য ব্যবস্থাকে সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। শুধুমাত্র খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে খাদ্যগুলো, চাল, ধান বা গম হ্যান্ডেল করা হয়, এগুলো না। শাক, সবজি, ফলমূলসহ অন্যান্য বিষয়কেও এখানে কনসিডার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই নীতির সামগ্রিক কাঠামো পুষ্টি সংবেদনশীল খাদ্য ব্যবস্থার উৎপাদনে চলমান দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনার পাঁচটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ ও খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে।’

‘এই নীতিমালায় খাদ্য ক্রয়, সংরক্ষণ ও সরবাহের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বাজারমুখী অর্থনীতি গতিশীল করার জন্য সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি নীতিমালায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এই নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট টেকসই উন্নয়নে অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘সুষ্ঠু, পরিপুষ্ট ও মেধাবী জাতি গঠনে এই নীতিমালা পজিটিভ রোল প্লে করবে। ভবিষ্যত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নির্দেশনা প্রণয়নে নির্দেশনা প্রণয়নেও সহায়ক হবে।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *