জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে
খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় সিটি মেয়র
দ: প্রতিবেদক
সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প পরিচিতি ও বাস্তবায়ন কৌশল বিষয়ক খুলনা বিভাগীয় কর্মশালা গতকাল সোমবার সকালে খুলনা গল্লামারী মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। মৎস্য অধিদপ্তর এবং সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা সিটি মেয়র বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। এই সেক্টর থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। চিংড়ির গুণগতমান নিশ্চিত করে তা বিদেশে রপ্তানি করতে হবে। দেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সমুদ্র বিজয় অর্জন করছি। তাঁর নেতৃত্বে দেশ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করতে হলে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বংালা বাস্তবায়ন করতে হলে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ সালেহ আহম্মেদ এবং সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ হাসান আহাম্মেদ। খুলনা বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক রণজিৎ কুমার পাল এতে সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনার সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রী।
কর্মশালায় জানানো হয়, ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের ১৬ জেলার ৭৫টি উজেলার সাতশত ৫০টি ইউনিয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রথমার্ধে এই প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই-২০১৮ থেকে জুন-২০২৩ এবং দ্বিতীয়ার্ধে জুলাই-২০২৪ থেকে জুন-২০৩০ সাল পর্যন্ত। দেশের জিভিপিতে মৎস্য সেক্টরের অবদান তিন দশমিক ৫৭ শতাংশ, বছরে মাছের চাহিদা চার দশমিক শূন্য পাঁচ মিলিয়ন টন এবং উৎপাদন চার দশমিক ২৮০ মিলিয়ন টন। কর্মশালায় আরো জানানো হয়, উপকূলীয় এলাকায় চারশত ৫০টি মৎস্য গ্রামকে কমিউনিটি সেভিংস গ্রæপ প্রতিষ্ঠা করা, একশ মডেল জেলে গ্রাম প্রতিষ্ঠা এবং এদের থেকে ৬০ শতাংশ সুবিধাভোগীদের অর্থ সহায়তা প্রদানসহ পর্যায়ক্রমে ৫৪ হাজার জেলে সরাসরি এই সুবিধার আওতায় আনা হবে।
কর্মশালায় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর জেলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সহকারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মৎস্য চাষি, মৎস্যজীবী, উৎপাদনকারী, বিক্রেতা, ডিপো, আড়তদার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।