জাতিসংঘ হাইকমিশনার সন্তুষ্ট হয়ে ধন্যবাদ দিয়েছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গুম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মাইনরিটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেওয়া ব্যাখ্যায় ‘কনভিন্সড’ (সন্তুষ্ট) বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাসলেত। ব্যাখ্যা শুনে তিনি ধন্যবাদ দিয়েছেন।
রোববার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে জাতিসংঘের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার দেশে গুম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মাইনরিটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরেন। আমরা এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেই। এতে তিনি সন্তুষ্ট হয়ে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
মিশেল ব্যাসলেতের সঙ্গে বৈঠকে গুমের ঘটনায় তিনটি কারণ উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসবের মধ্যে রয়েছে ঘৃণ্য অপরাধ, ঋণের কারণে দেউলিয়া ও পারিবারিক সমস্যার শিকার হওয়া।
৭৬ জন মিসিং বা ডিসঅ্যাপেয়ারেন্স পারসনের তালিকা দেন হাইকমিশনার। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে কে কোথায় থাকতে পারেন, মন্ত্রী তাকে জানান। তিনি বলেন, ৭৬ জনের মধ্যে ১০ জন তাদের বাড়িতেই আছে। দুজন জেলখানায়। বাকি ৬৪ জনের মধ্যে ৩২ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশতামূলক অভিযোগ রয়েছে। পুলিশও তাদেরকে খুঁজছে। যেকোনো সময় তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের এসব ব্যাপারে অফিসিয়ালি জানিয়েছি। আমাদের এ সমস্ত কথার পর ভিডিও দেখানো হয়েছে। তাদের এ ব্যাপারে আর প্রশ্ন করার কিছু ছিল না। তারা তারা সবাই সন্তুষ্ট হয়ে আমাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেছেন।
গুমের বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনতা, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা ও রোহিঙ্গাদের বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাসলেতের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী।