জরুরি ব্যবহারে অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
এবার জরুরি ব্যবহারের জন্য অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল এই টিকা ব্যবহারের বিষয়ে সুপারিশ করার কয়েক দিন পরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এলো। খবর এনবিসি নিউজের।
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার এসকেবায়ো এবং ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম ঘেব্রেয়েসুস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দ্রুত ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য আমাদের সব বন্দোবস্ত হয়ে গেছে। তবে এখনও আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, ধনী দেশগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর পাশাপাশি তাদের কাছেও কোভিড-১৯ টিকার নথিপত্র জমা দিতে টিকা প্রস্তুতকারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দলের প্যানেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দিতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটির অন্যান্য দেশেও যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য লাগাম টানতে টিকা প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন। বয়স্ক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের দেহে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার প্রমাণ ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে।
এদিকে সম্প্রতি শিশুদের দেহে এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা জানতে প্রথমবারের মতো ট্রায়াল শুরু করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের দেহে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কথা জানানো হয়েছে।
এর নাম দেয়া হয়েছে ‘মিড-স্টেজ ট্রায়াল।’ এক্ষেত্রে ৬ থেকে ১৭ বছরের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের তেহে এই ভ্যাকসিন কতটা কাজ করছে তা জানা সম্ভব হবে। পুরো প্রক্রিয়া শুরু হবে এ মাসেই। প্রাথমিকভাবে এই পরীক্ষা চালাতে ৩শ জনের নাম নথিভুক্ত করা হবে।
ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা এবং সংরক্ষণের সুবিধা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। শিশুদেরও ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে তাই এবার ট্রায়ালের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।