জনদুর্ভোগ বিবেচনায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান কাদেরের
পরীক্ষার্থী ও জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে পূর্বঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা। এতে পরীক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
আগামী রোববার (৭ নভেম্বর) বিআরটিএ’র ভাড়া পুনর্নির্ধারণ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সেখানে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাস্তবভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যম জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে।
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। যা কার্যকর হয় ওইদিন রাত ১২টা থেকে।
বঙ্গবন্ধু সেতু ও মুক্তারপুর সেতুর টোল ভাড়া বাড়ানো প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাড়ার কারণে অনুমোদিত যানবাহনের শ্রেণিবিন্যাস এবং টোলহার বাড়ানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে সর্বশেষ ২০১১ সালে টোলহার বাড়ানো হয়েছিল। দীর্ঘ ১০ বছর পর এ সেতুর টোলহার বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ২০০৮ সালে মুক্তারপুর সেতু চালু হওয়ার পর এই প্রথম সেখানে টোলহার বাড়ানো হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বাস্তবভিত্তিক ও যৌক্তিক হারে টোলের হার বাড়ানোর বিষয়টি মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।