জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকি নিয়ে সেবা করতে হবে : সিটি মেয়র
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনৈতিক দল। জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষেই সৃষ্টি থেকে কাজ করে আসছে। সে কারণেই আওয়ামী লীগ আজ দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। এই জনগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তিনি আরও বলেন, আজ বিশ্বে করোনা মহামারী আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ তার আওতায়। আর খুলনাসহ বিভাগের ১০ জেলার প্রায় অধিকাংশ জেলাই ভারতের সিমান্ত ঘেষা। সীমান্ত ঘেষার কারণেই ভারত থেকে পালিয়ে আসা মানুষের শরীরে বয়ে আনা জীবানু আজ খুলনাসহ দেশময় ছড়িয়ে পড়ছে। এই পালিয়ে আসা মানুষদেরকে ধরে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরে বাড়িতে ফেরত পাঠাতে হবে। তাহলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসবে। এছাড়া নগরীতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রিত করতে হবে। কেউ অহেতুক রাস্তায়, মোড়ে আড্ডা দিতে পারবে না। কোন মানুষ মাস্ক ছাড়া জরুরি কাজেও বের হতে পারবে না। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলকে ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করতে হবে।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময়ে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। সভা পরিচালনা করেন দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, শেখ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, শেখ ফারুক হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ নুর মোহাম্মদ, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, শেখ সৈয়দ আলী, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, শেখ আবিদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম বাশার, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, শহীদুল ইসলাম বন্দ, এস এম আনিছুর রহমান, অধ্যা. রুনু ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, মনিরুজ্জামান সাগর, এস এম আকিল উদ্দিন, কাউন্সিলর এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা, এ কে এম শাহজাহান কচি, মো. মোতালেব মিয়া, রণজিত কুমার ঘোষ, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, মীর বরকত আলী, এম এ নাসিম, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মোস্তফা কামাল, নজিবুর রহমান, কাউন্সিলর রেক্সোনা কালাম লিলি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, ফেরদৌস হোসেন লাবু, আব্দুল হাই পলাশ, মো. সফিউল্লাহ, এনায়েত আলী আলো কাজী, শেখ আবিদ উল্লাহ, আব্দুস সাত্তার লিটন, জিয়াউল ইসলাম মন্টু, বাবুল সরদার বাদল, শেখ জাহিদ হোসেন, মঈনুল ইসলাম নাসির, আব্দুর রউফ মোড়ল, চ.ম মুজিবর রহমান, মো. নুর ইসলাম, মো. জাহিদুল হক, মো. জাকির হোসেন, এমরানুল হক বাবু, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, হারুনুর রশীদ হাওলাদার, জিয়াউল আলম খান খোকন, মোল্লা হায়দার আলী, আসলাম আলী, মো. জিয়াউল ইসলাম, মো: শাহজাহান জমাদ্দার, মো. শিহাব উদ্দিন, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, ইমরুল ইসলাম, শেখ মো. রুহুল আমিন, সরদার আব্দুল হালিম, আতাউর রহমান খান রাজু, ওয়াহিদুল ইসলাম পলাশ, ইউসুফ আলী খান, মো. মোতালেব মিয়াসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সভায় আগামীকাল শুক্রবার থেকে আগামী ৭ দিন নগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও দৌলতপুর থানার ৫টি ওয়ার্ডের কাচা বাজার ও ওষুধের দোকান বাদে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল বন্ধ রাখার জন্য কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ বিধি নিষেধ বাস্তবায়নের জন্য দলের নেতাকর্মী ও নির্বাচিত কাউন্সিলরদের প্রতি আহবান জানান।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়