জনগণের আস্থার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতি অর্পিত জনগণের আস্থার মার্যাদা সমুন্নত রাখতে মন্ত্রীবর্গসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের উপর আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করেছেন এবং পাশাপাশি বিশাল দায়িত্বও দিয়েছেন। জনগণের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের মাধ্যমে তাদের এই আস্থার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের বিষয়ে লক্ষ্য রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে একনেকের প্রথম বৈঠকের সূচনা বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিশাল বিজয়ে ৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠনের ২ সপ্তাহ পর একনেকের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ের লোকদের ভাগ্যের পরিবর্তনের লক্ষ্যে তাঁর সরকার সকল ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন,এর মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুত দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের কাজের গতি ও মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে তদারকি জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের পূর্ববর্তী মেয়াদের শেষদিকে অনেকগুলো প্রকল্প অনুমোদন করেছি। আমরা দ্রুত এসব প্রকল্পকাজ শুরু এবং শেষ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের তদারকি কাজের গতি ও মান জোরদার করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দারিদ্র্য হার ২১ শতাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে, ‘আমরা এই হার আরো কমিয়ে আনবো, এটি আমাদের মাথায় আছে’ তিনি বলেন। শেখ হাসিনা জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন এবং বলেন, আমি জানি একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছানোর পরে প্রবৃদ্ধির হার আরো বাড়ানো অনেক কঠিন। তবে, আমি বিশ্বাস করি আমরা এটি করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমরা একত্রে কাজ করছি এবং আমরা একটি টিম ওয়ার্ক তৈরি করবো যাতে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণ করবো ইনশায়ালাহ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা ৭.৮৬ শতাংশ জিডিপি অর্জনে সক্ষম হয়েছি এবং এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে।
বাংলাদেশ আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে উলেখ করে প্রধানমন্ত্রী এটি মনে রেখে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ এবং মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। এই সাফল্য ধরে রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তুলবো। এ কথা মনে রেখে আমাদের সকল কর্মকান্ড এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, আরো ৫ বছর দেশ পরিচালনার জন্য আমরা জনগণের কাছ থেকে দায়িত্ব পেয়েছি। এজন্য বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার কাজ সম্পন্ন করতে আমি সকলের সহযোগিতা চাই। ব্যাপক জনসমর্থনের মাধ্যমে তার সরকারকে পুননির্বাচিত করায় দেশের মানুষের প্রতি আন্তরিক কৃজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি নতুনভাবে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করেছেন।