জঙ্গিবাদের মামলায় লেকহেডের আগের মালিক রিজওয়ান গ্রেপ্তার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
জঙ্গিবাদ প্রচারের অভিযোগে ঢাকার গুলশান এলাকার লেকহেড গ্রামার স্কুলের আগের মালিক রিজওয়ান হারুনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, হারুন আল-কায়দার আদর্শে বাংলাদেশে গড়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুসলিমিনের সক্রিয় সদস্য।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান বলেন, রোববার ভোর ৬টায় ধানমন্ডি ৬/এ এলাকায় ঈদগা মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে রিজওয়ানের সন্ধান না পেয়ে দুই বছর আগে বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন তার বাবা হারুন রশীদ।
২০১৭ সালের ১৫ মে করা ওই জিডিতে বলা হয়, ১১ মে বিকালে বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে একটি কালো রংয়ের গাড়িতে রিজওয়ানকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। গ্রেপ্তারের খবর আসার পর রিজওয়ানের পরিবারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা সবাই বিদেশে বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, রিজওয়ান হারুন ২০০৬ সালে গুলশানের লেকহেড গ্রামার স্কুলটি এর প্রতিষ্ঠাতা আবদুল লতিফের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে তা বিক্রি করে দেন খালেদ হাসান মতিন নামে আরেকজনের কাছে। শিক্ষার আড়ালে জঙ্গিবাদ প্রচারের অভিযোগ ওঠার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালে লেকহিড স্কুলটি বন্ধ করে দিয়েছিল। লেকহিড স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার সময় থেকে রিজওয়ানের উপর পুলিশের নজর ছিল বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান।
ফজলুর রহমান বলেন, সেখানে তারা কোমলমতি শিশুদের ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গি মতাদর্শে গড়ে তুলতে চাইছিল। পুলিশ তা জানতে পারলে ২০১৭ সালে খালেদ হাসান মতিনের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করে দিয়েছিল রেজওয়ান হারুন।
জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক বছর আগে গুলশান থানায় রিজওয়ানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছিল। তাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হেফাজতে নিয়ে ১০ দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।
জামায়াতুল মুসলিমিন নামে সংগঠনটি পুলিশের ‘কালো তালিকা’য় রয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা ফজলুর। তিনি বলেন, রিজওয়ান হারুনসহ এই জঙ্গি সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা ঢাকার বিভিন্ন বাসা, মসজিদ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হারুন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নিজস্ব অফিস তাদের কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করত। এই সংগঠনের অন্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।