ছয় বলে ছয় চার হজম করে পৃথ্বির হাত মুচড়ে দিলেন তিনি!
বৃহস্পতিবার রাতে আহমেদাবাদে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে পৃথ্বি শ ঝড়। তার ৪১ বলে ৮২ রানের টর্নেডো ইনিংসে মৌসুমের পঞ্চম পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে কলকাতা। পৃথ্বি ঝড়ের বড় অংশটা সইতে হয়েছে তরুণ পেসার শিভাম মাভিকে।
কলকাতার করা ১৫৪ রানের জবাবে দিল্লি ক্যাপিট্যালসের পক্ষে ইনিংসের প্রথম ওভারের ছয় বলে ছয়টি চার মারেন পৃথ্বি। একটি ওয়াইডসহ সেই ওভারে মোট ২৫ রান দেন প্রথম ওভারে বোলিং করা মাভি। পরে পুরো ম্যাচে আর তাকে বোলিংয়ে ডাকেননি অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান।
ওভারে ছয়টি চার হাঁকানোয় ম্যাচ শেষে পৃথ্বির ওপর অন্যরকম প্রতিশোধ নিয়েছেন মাভি। দুই দলের খেলোয়াড়রা যখন হাত মেলাচ্ছিলেন, তখন পৃথ্বিকে পেয়ে আচ্ছামতো তার হাত মুচড়ে দেন মাভি। যেন ছয় চারের প্রতিশোধই নিচ্ছিলেন তিনি। তবে পুরো বিষয়টাই ছিল মজা করে করা।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে একসঙ্গে খেলছেন মাভি ও পৃথ্বি। ২০১৮ সালে পৃথ্বি শ’র নেতৃত্বে যে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত, সেই দলের অন্যতম মূল অস্ত্র ছিলেন ডানহাতি পেসার মাভি। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে খেলায় তাদের বন্ধুত্বটাও বেশ গভীর।
এ কারণেই মূলত পৃথ্বির সঙ্গে মজা করেন মাভি। পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেছেন পৃথ্বি। জানিয়েছেন, মাভির বোলিং সম্পর্কে ধারণা থাকায়ই মূলত ছয় বলে ছয় চার মারা তার জন্য সহজ হয়েছে। তবে মাভি কোনো বাউন্সার না করায় অবাকই হয়েছেন পৃথ্বি।
দলকে জিতিয়ে নিজে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা পৃথ্বি বলেন, ‘আমরা এখন ৪-৫ বছর ধরে একসঙ্গে খেলছি। তাই আমি জানি, মাভি আমাকে কোথায় বল করতে পারে। আমি শর্ট বলের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। প্রথম কয়েকটা বল হাফ ভলি করায়, ভেবেছিলাম পরে শর্ট বল করবে। কিন্তু সে একটাও (শর্ট বল) করেনি।’
উল্লেখ্য, আইপিএলে এক ওভারে ছয়টি চার মারা দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান পৃথ্বি শ। তার আগে ২০১২ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর এস অরভিন্দের বিপক্ষে এক ওভারে ছয়টি চার মেরেছিলেন অজিঙ্কা রাহানে।