ছুটির দিনে একুশে বইমেলায় ভীড়
খবর বিজ্ঞপ্তি
গতকাল ছিল একুশে বইমেলা, খুলনা’র ১৫তম দিন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলায় মানুষের ঢল নেমেছিল। সকাল থেকেই মেলা মঞ্চের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের ১০০ তম সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। সম্মেলনে সকালের পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া এবং বিকালের পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ, খুলনার চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ।
দেশের ও বিদেশের সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল মান্নান, কৃষিবিজ্ঞানী ও গবেষক ড. কাঞ্চন কুমার ভৌমিক (ভারত), ঔপন্যাসিক ও কবি ড. চিত্তরঞ্জন মাইতি (ভারত), সুব্রত কুমার বুড়াই, শিক্ষারতœ (ভারত), গবেষক ও শিক্ষাবিদ কৃষ্ণেন্দু হাইত (ভারত), কবি চন্দনা ঘাঁটি (ভারত), কবি পুষ্প রাণী সাঁতরা (ভারত), কবি ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী জয়িতা মাইতি (ভারত), রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক আশীষ কুমার উপাধ্যায় (ভারত), কবি ও সাংবাদিক ড. সুজাতা রায় (ভারত) এবং সুইডেন প্রবাসী কবি লুৎফর রহমান (এলমান)। ঢাকা থেকে আগত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বাচিক শিল্পী সীমা ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আবু সুফিয়ান খান এবং নজরুল গবেষক এইচ এম সিরাজ প্রমূখ।
সকাল ও বিকাল উভয় পর্বের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপভূমি সংস্কার কমিশনার (যুগ্মসচিব), খুলনা বিভাগ, খুলনা এস. এম রইজ উদ্দিন আহম্মদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক শেখ আজিজুল ইসলাম টিপু। সার্বিক তত্ত¡াবধানে ছিলেন গাঙচিলের প্রতিষ্ঠাতা খান আখতার হোসেন। সন্ধ্যায় দ্রাবিড় এবং কেএমপি সাংস্কৃতিক সংঘের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রচুর দর্শক শ্রোতা মেলা মঞ্চের সাংস্কৃতিক আয়োজন উপভোগ করে। বিশেষ করে দ্রাবিড়ের অশোক কুমার মন্ডল এবং দিলীপের পরিবেশিত গম্ভীরা গান দর্শক শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলে।