ছাত্রের চুল কাটার অভিযোগে বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে নাটোরে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়ে গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার পারভেজ এই বরখাস্তের আদেশ দেন। বরখাস্ত সেকেন্দার আলী বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। একই সঙ্গে তাকে এ ঘটনার কারণও ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, আগামী সোমবার বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক শিক্ষা সফরে যাওয়ার দিন নির্ধারিত ছিল। এজন্য প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের চুল ছোট করে কাটার নির্দেশ দিলেও শিক্ষা সফরের আগের দিন রবিবার তিনি বিদ্যালয়ে এসে দেখেন অনেকেই চুল ছোট করেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউএনও আনোয়ার পারভেজ জানান, চুল ছোট না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন শ্রেণির ২২ জন ছাত্রকে ধরে এনে নিজ হাতে কাঁচি দিয়ে একে একে সবার চুল ছেঁটে দেন। অভিভাবকরা এ খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সংবাদ পেয়ে বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলিপ কুমার দাসসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন বলে ইউএনও জানান।
ইউএনও আরও বলেন, পরে তিনি নিজে (ইউএনও) ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিভাবকদের অভিযোগ শোনেন এবং সাক্ষ্য প্রমাণ নেন। প্রাথমিকভাবে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি।
তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ দর্শানো সন্তোষজনক না হলে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে। এছাড়া এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি বন্ধক রেখে টাকা আতœসাৎ, অবৈধভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল আদায়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসাসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে বলেও ইউএনও জানান।
তিনি বলেন, এসব অভিযোগ তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চুল কাটার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং অন্যান্য অভিযোগের তদন্ত প্রভাবমুক্তভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষক রতন কুমার সরকারকে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দেন বলেও ইউএনও জানান।