September 8, 2024
জাতীয়

ছাত্রলীগে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা : তথ্যমন্ত্রী

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

ছাত্রলীগ নেতাদের কর্মকাণ্ডে শেখ হাসিনার বিরক্তি প্রকাশের মধ্যে সংগঠনটিতে নানা অঘটন ঘটানোর জন্য অনুপ্রবেশকারীদের দায়ী করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

গতকাল বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্রলীগের মধ্যে কিছু অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে, তারা নানা সময় নানা ঘটনা ঘটায়, যেগুলোর দায় ছাত্রলীগের উপর এসে পড়ে।

সহযোগী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নানা কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগ নেতাদের বিব্রত করেছে নানা সময়ে। ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বিরক্তি স¤প্রতি দলের এক সভায় প্রকাশ পেয়েছে।

শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী নেতৃত্বাধীন কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর ছড়ালেও তা স্বীকার করেননি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

কমিটি ভাঙা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত প্রধানমন্ত্রী নিজেই ছাত্রলীগের বিষয়গুলো দেখভাল করেন, তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন যে কমিটি থাকবে কি থাকবে না।

ছাত্রলীগের বিষয়ে ঢালাওভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, সব সময় যে সমস্ত খবর প্রচারিত হয়, সবগুলো সঠিক নয়।

আওয়ামী লীগ ‘মিথ্যাচারের কোম্পানি’ বলার প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি হচ্ছে ‘লিমিটেড কোম্পানি’, তার নেতারা হচ্ছেন ‘ভাড়াটে রাজনীতিক’।

তিনি বলেন, বিএনপি তো রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নেয় না, রাজনীতিটাকে লস এন্ড প্রফিট হিসেবে দেখে। এই কোম্পানির যারা সদস্য, তারা রাজনীতিটাকে ব্রত হিসেবে নেয়নি। বিএনপি বেশিরভাগ নেতা হচ্ছে ভাড়া খাটা রাজনীতিবিদ। তাদের অতীতটা দেখলে দেখতে পাই, তারা অন্য দল করতেন অর্থাৎ ভাড়াখাটা রাজনীতিবিদ।

বিএনপির আন্দোলনের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, গয়েশ্বর বাবু বলেছেন, মানববন্ধন নয়, দানববন্ধন করতে হবে। এ কথা বলে তিনি অশুভ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছেন। কারণ বিএনপি তো অতীতে দানবীয় রুপ ধারণ করেছে আমরা দেখেছি। ২০১৩ সালে ১৪ সালে ১৫ সালে এমনকি ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও তাদের কার্যালয়ের সামনে বিএনপিকর্মীদের দানবীয় রূপ দেখেছি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ চায় বিএনপি একটি শক্তিশালী দল হিসেবে দেশে টিকে থাকুক। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য শক্তিশালী বিরোধীদল থাকুক, সেটিই আমরা চাই। বিএনপিকে অন্য কারও ধ্বংস করার প্রয়োজন নাই, বিএনপি নিজেরাই বিভিন্ন সময়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

২০১৩ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আত্মহননের সিদ্ধান্ত ছিল, ২০১৮ সালে নির্বাচনে গিয়েও গেল না সেটাও আত্মহননের মত সিদ্ধান্ত ছিল সুতরাং বিএনপি নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *