ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর মারামারি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ছাত্রলীগের সদ্যগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির সমালোচনা করতে গিয়ে পদ পাওয়া নেতাদের মারধরের শিকার হয়েছেন পদ না পাওয়ারা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এই হামলায় নারীকর্মীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সম্মেলনের এক বছর পর সোমবার ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী; যাদের কেউ পদ পাননি, কেউবা কাক্সিক্ষত পদ না পেয়ে ক্ষুব্ধ। সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগ মুহূর্তে সেখানে হামলা চালিয়ে সংবাদ সম্মেলন পণ্ড করে দেয় আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নেওয়া পদ পাওয়া শতাধিক নেতা। প্রকাশ্যেই চালানো এই হামলায় তারা সংবাদ সম্মেলনের ব্যানার ছিড়ে নিয়ে যায় এবং মারধর করে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক উপ সম্পাদক ও ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির উপ বিজ্ঞান সম্পাদক তানভীর আহমেদ, রোকেয়া হলের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবনী দিশা, রোকেয়া হলের সভাপতি ও ডাকসুর কমন রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি (নতুন কমিটিতে উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক), শামসুন্নাহার হলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন শান্তা, শামসুন্নাহার হলের সভাপতি ও ডাকসু সদস্য নিপু ইসলাম তন্বী (বর্তমান কমিটির উপ সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক), কুয়েত মৈত্রী হলের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক আইন সম্পাদক সাইফুর রহমান। ‘যোগ্যদের বঞ্চিত করে বিবাহিত, বিতর্কিত, অছাত্র ও অযোগ্যদের দিয়ে গঠিত কমিটি’ বাতিলের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন তারা।
এদের অন্যতম নেতা ও সাবেক প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু বলেন, বিবাহিত, অছাত্র ও চাকরিজীবীদের দিয়ে যেই কমিটি আজকে করা হয়েছে তা বতিলের সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা হয়। আমাদের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। কমিটিতে যাদের নিয়ে আপত্তি, সেই ‘বিবাহিত ও চাকরিজীবীদের তালিকা’ অচিরেই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
সাবেক কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক সাইফুর রহমান বলেন, আমি ছাত্রলীগের হল ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছি। পাশাপাশি নির্যাতিত আওয়ামী পরিবারের সন্তান আমি। তাহলে কোন অযোগ্যতায় আমাকে বাদ দেওয়া হল?
নতুন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামস ই নোমান, সহ সভাপতি সাদিক খানকে হামলার নেতৃত্বে দেখা গেছে। তবে তাদের কারও কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।