ছাত্রদলের কাউন্সিল আটকেছে বিএনপির কারণে: কাদের
ছাত্রদলের কাউন্সিল আটকানোর জন্য সরকারকে দায়ী করার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্বের সঙ্কটই এর কারণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উদ্যোগে শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবসের’ আলোচনা সভা, কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে একথা বলেন তিনি।
শনিবার ছাত্রদলের কাউন্সিলে কথা থাকলেও সংগঠনটির এক নেতার আবেদনে আদালত স্থগিতাদেশ আসায় তা আটকে যায়। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকারের চক্রান্তেই ছাত্রদলের কাউন্সিলর বন্ধ করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগ কেন ছাত্রদলের সম্মেলন বন্ধ করতে যাবে? ছাত্রদলের নেতাদের মামলার কারণে তাদের কাউন্সিল বন্ধ হল। এখানেও নন্দ ঘোষ শেখ হাসিনার দোষ, এখানেও নন্দ ঘোষ, আওয়ামী লীগের দোষ।
বৃহস্পতিবার আদালতের আদেশের আগে দিনভর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের পদচারণায় সরগরম ছিল নয়া পল্টনের বিএনপি কার্যালয়
“নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে মামলা করে সম্মেলন পণ্ড করেছে। এখানে আওয়ামী লীগ বা সরকারে এখানে দোষ কী?”আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ছাত্রদলের এই সঙ্কটের জন্য বিএনপির নেতৃত্ব দায়ী। তাদের বিদ্বেষপ্রসূত রাজনীতি, তাদের নেতিবাচক রাজনীতি বিএনপিতে সঙ্কট তৈরি করেছে।”
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের অর্জনই বাংলাদেশে বিরোধী দলের রাজনীতি করাকে সঙ্কটপূর্ণ করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন কাদের।
“শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জন দেখলে এই দেশে অনেকের আঁতে ঘা লাগে, যন্ত্রণা শুরু হয়। শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জন ও তার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা বাংলাদেশে বিরোধী রাজনীতির জন্য সঙ্কটের কালো ছায়া নামিয়ে এনেছে।”
আওয়ামী লীগের কেউ কেউ দুর্নীতিতে যুক্ত বলে স্বীকার করে নিয়েই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরেন কাদের।
“আমাদের দলের সবাই চকবাজারের ইমাম, একথা বলব না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারের অনেক মন্ত্রী দুদকে হাজিরা দিচ্ছে, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী জেলে আছে।”
অনুষ্ঠানে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী সংগঠনের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলা এবং ১৭ সেপ্টেম্বর গাজীপুর জেলায় ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবসের’ অনুষ্ঠান হবে। সারা দেশে জেলা-উপজেলায় কর্মসূচি পালন হবে ২৮ সেপ্টেম্বর।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এ মোমেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু।