চ্যালেঞ্জের মুখে কঙ্গনা-রুক্মিনী
টলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী রুক্মিনী মৈত্র। তাকে নিয়ে পরিচালক রামকমল মুখার্জি নির্মাণ করছেন ‘বিনোদিনী-একটি নটীর উপাখ্যান’। বিনোদিনী দাসীর জীবনী নিয়ে নির্মিত হচ্ছে এটি। এতে নটী বিনোদিনীর চরিত্রে অভিনয় করবেন রুক্মিনী। গত মাসে ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে এসেছে।
এরই মধ্যে কঙ্গনা রাণৌত ঘোষণা দিলেন— নটী বিনোদিনী রূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন তিনি। তবে রুক্মিনীর পরিবর্তে নয়। বিনোদিনী দাসীর জীবনী নিয়ে হিন্দি ভাষায় নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘নটী বিনোদিনী’ সিনেমা। এটি পরিচালনা করছেন প্রদীপ সরকার। এরই মধ্যে সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি।
এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। কঙ্গনা-রুক্মিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন ভক্তরা। একটি চাপা চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে এই দুই অভিনেত্রীর মাঝে। দুজনের মাঝে কে সবচেয়ে ভালো বিনোদিনী দাসী চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারেন তা দেখার অপেক্ষায় ভক্তরা।
এই চাপা চ্যালেঞ্জের বিষয়ে রুক্মিনী হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন—‘কঙ্গনার সঙ্গে তুলনা হওয়া নিঃসন্দেহে একটি বড় পাওয়া। কঙ্গনা অসাধারণ একজন অভিনেত্রী; দুর্দান্ত কাজ করবেন। আমি নিজেও তার বড় ভক্ত। সুতরাং এর বেশি আমি কী বা চাইব? তবে আমি আমার সিনেমায় সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
‘আমার সিনেমা বিনোদিনীর ঘোষণা আগেই করা হয়েছে। তবু বাঙালি হিসেবে খুব গর্ব হচ্ছে। গোটা দেশ এক বাঙালি অভিনেত্রীকে নিয়ে কথা বলছে। সব বাধা কাটিয়ে যে নারী সিনেমা/ থিয়েটারে মেয়েদের আসার রাস্তা করে দিয়ে গেছেন। সুতরাং গোটা টিমের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল। আরো একবার এগিয়ে বাংলা।’ বলেন রুক্মিনী।
রুক্মিনীর এ সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন প্রিয়াঙ্কা পোদ্দার। সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে রয়েছেন মধুরা পালিত। কলকাতা ও বেনারসে হবে এই পিরিয়ড ড্রামা ঘরানার সিনেমার শুটিং। ডিসেম্বরে দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী পয়লা বৈশাখে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এটি প্রযোজনা করছে শৈলেন্দ্র কুমার, সুরজ শর্মা এবং প্রতীক চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, বারবণিতার পরিবেশ থেকে একেবারে ছোট বয়সে বাংলা মঞ্চে অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন নটী বিনোদিনী। গ্রেট ন্যাশন্যাল থিয়েটারে ‘শত্রুসংহার’ নাটকে দ্রৌপদীর সখীর ছোট্ট ভূমিকায় ১২ বছর বয়সে তিনি প্রথম অভিনয় করে মাসিক দশ টাকা বেতনে। ১৯৭৩ সালে বিনোদিনী সাধারণ রঙ্গালয়ে যোগ দেন।
১৮৬২ সালে জন্ম গ্রহণ করেন বিনোদিনী। নাচগানে পারদর্শীতার পাশাপাশি খুব তাড়াতাড়ি অভিনয়ে দক্ষতা ও প্রথম শ্রেণির একজন অভিনেত্রী হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেন। ১৮৭৪ থেকে টানা ১২ বছর অভিনয় করেন বিনোদিনী। অভিনয় জীবনে ৫০টি নাটকের ৬০টিরও বেশি চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ১৮৮৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর শেষবারের মতো অভিনয় করেন বিনোদিনী।