চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডারের মাথায় নেই চ্যাম্পিয়ন-ভাবনা!
আগের সাত আসরে তার দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুইবার। বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রতিবারই সাকিব আল হাসান ছিলেন ঢাকায় (একবার গ্ল্যাডিয়েটর্স, আরেকবার নাম ছিল ডাইনামাইটস)। এর বাইরে খুলনা ও রংপুরের হয়েও খেলেছেন সাকিব। কিন্তু শিরোপা জেতা হয়নি।
অর্থাৎ ঢাকার বাইরে আর কোনো দলের হয়ে শিরোপা জেতা হয়নি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। এবার তার দল ফরচুন বরিশাল। যে দলটিতে নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহানদের মতো তরুণদের সঙ্গে আছে ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্রাভো, মুজিব উর রহমানের মতো বড় বড় নাম।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বমানের ৩-৪ স্পেশালিস্ট আর এক ঝাঁক স্থানীয় তরুণ নিয়ে গড়া এই দল নিয়ে কতদূর যেতে পারবে? সাকিব কি পারবেন ঢাকার বাইরে কোনো দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে? নতুন দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে কি কোনো বাড়তি চাপ অনুভব করছেন ‘চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার’?
প্রশ্ন উঠতেই সাকিবের আত্মবিশ্বাসী জবাব, ‘ওইরকম কোনো চাপ আমার কখনোই মনে হয়নি। ছয়টা দলই আসলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলতে নামছে। আমরাও তার ব্যতিক্রম নই।’
তার পরের কথাটিতেই মিললো সত্যিকার সাকিবের পরিচয়, ‘চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে ভালো। না হতে পারলেও তেমন কিছু করার থাকবে না।’
সাকিব যোগ করেন, ‘আমরা যেটা করতে পারি, তাহলো শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করা। মাঠে আমাদের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করতে পারি। একটা দল হিসেবে খেলতে পারি। সফলতা আনার জন্য যা যা করা দরকার, সেই কাজগুলো করতে পারি।’
মানে সাকিবের কথা পরিষ্কার, সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে ভাবা মানেই বাড়তি চাপ অনুভব করা, তার চেয়ে সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টাই আসল কাজ।
নিজের দলকে কোন দিক থেকে এগিয়ে রাখতে চান? আসর শুরুর আগে এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়াই যুক্তিযুক্ত মনে করছেন না সাকিব। তার ব্যাখ্যা, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এগুলো বলা মুশকিল। বাকি পাঁচদলের সাথে একইরকম মনে হচ্ছে আমাদের। প্রথম ২/১টা ম্যাচ গেলে হয়তো অনেক বেশি অ্যানালাইসিস করা সম্ভব। এখন যেটা মনে হচ্ছে, খুবই ব্যালেন্স একটা দল আমাদের। তবে টুর্নামেন্ট শুরু হলে তারপরই আসল অবস্থা বোঝা যাবে।’