চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুনের এক মামলায় খালেদার জামিন বহাল
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
কুমিলার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোলবোমা ছুড়ে আটজনকে হত্যার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাই কোর্টের জামিন আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। গত ৪ ফেব্র“য়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন কুমিলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আকবর।
তখন খালেদা জিয়া হাই কোর্টে জামিন আবেদন করলে গত ৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ ছয় মাসের জন্য তাকে জামিন দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ৭ এপ্রিল দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন।
গতকাল রবিবার প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে খালেদাকে ছয় মাসের জামিন দিয়ে দেওয়া হাই কোর্টের আদেশ বহাল থাকল।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে ছিলেন খোন্দকার মাহবুব হোসেন ও এ জে মোহাম্মদ আলী।
খোন্দকার মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এখন নতুন করে কোনো মামলা না হলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দুটিতে তিনি জামিন পেলেই মুক্তিতে আর বাধা থাকবে না। তবে সরকারের বাধার কারণে আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
জিয়া এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি। বর্তমানে তিনি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে রয়েছেন।
এক প্রশ্নে খোন্দকার মাহবুব বলেন, প্যারোলের বিষয়টি রাজনৈতিক বিষয়। এখানে তিনি প্যারোলে যাবেন কি না এবং সরকার প্যারোল দিবেন কি না, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা আইনজীবী হিসেবে বলতে পারি চিকিৎসার জন্য প্যারোলে যায়।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্র“য়ারি জামায়াত-বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে কুমিলার চৌদ্দগ্রামে আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। এতে আগুনে পুড়ে মারা যান আট যাত্রী। আহত হন আরও ২৭ জন।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। দুটি মামলায় দুই বছর এক মাস তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মো. ইব্রাহিম। মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসমি করা হয়েছে। উভয় মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে।