চোট পেয়ে হাসপাতালে সোনাজয়ী প্রিয়া
সাউথ এশিয়ান গেমসে কারাতে সোনা জয়ের একদিন পরেই চোটে পড়েছেন বাংলাদেশের মারজান আক্তার প্রিয়া।
বুধবার ইভেন্ট ভেন্যু সাতদাবাতোর ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে দলগত ইভেন্টে শ্রীলঙ্কার প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়াইয়ের এক পর্যায়ে চোয়ালে আঘাত পান প্রিয়া। সাথে সাথে চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর স্থানান্তর করা হয় ব্লু-ক্রস হাসপাতালে।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে।
“রিপোর্ট নরমাল এসেছে। ডাক্তারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সমস্যা নেই। তারপরও ডাক্তার ওকে দুই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখবেন। এরপর সবকিছু ঠিক থাকলে ছাড়পত্র দেবেন।”
হাসপাতালের অর্থো সার্জন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট প্রাজ্জ্বল মান শ্রেষ্ঠ জানান, প্রিয়া কিছুটা নিদ্রালু অবস্থায় ছিলেন। ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করছিলেন। সিটি স্ক্যান করার পর একজন নিউরো সার্জন তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।
হাসপাতালে প্রিয়ার সঙ্গে থাকা আরেক বাংলাদেশি অ্যাথলেট আবিদা সুলতানা জানান শ্রীলঙ্কার প্রতিযোগীর জোরালো আঘাতেই চোট পান সোনাজয়ী তারকা।
“শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের সেকেন্ড বাউটের খেলা ছিল। তিন জন করে খেলা। প্রথম বাউট খেলেছে মাউনজেরা বর্ণা। শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা বারবার দুই চোয়ালের দিকে আঘাত করছিল, এটা খেলার অংশ। কিন্তু হিট অনেক জোরে ছিল। সাধারণত এ ধরনের হিটে রেফারিরা ফাউল দেয় এবং তারা ফাউল দিয়েছেও।
“প্রিয়ার খেলার সময়ও বিষয়টা এরকমই ছিল। প্রতিপক্ষ হেভিওয়েট প্লেয়ার ছিল। ৬৮ (প্লাস) কেজি ওজন শ্রেণির খেলোয়াড় ছিল। তার হিট জোরে লেগেছে। এখানে ডাক্তার প্রথম ইসিজি করল। সবকিছু নরমাল পেয়েছে। একটাই সমস্যা পেয়েছে, কনসাসনেস একটু কম। ও বলছে, মাথার পেছনের দিকে ব্যাথা । ডাক্তার পেইন কিলার দিয়েছেন।”
মঙ্গলবার মেয়েদের এককে অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজি ওজন শ্রেণির কুমিতে ইভেন্টে পাকিস্তানের কৌসরা সানাকে ৪-৩ পয়েন্টে হারিয়ে সোনা জিতে নেন প্রিয়া।