চুড়িহাট্টায় পোড়া গাড়ির গায়ে ছোট্ট জারার শোকের পতাকা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাবার হাত ধরে ঢাকার চকবাজারে এসেছিল ছোট্ট জারা হায়াত খান; রাষ্ট্রীয় শোকের দিনে চুড়িহাট্টার রাস্তায় পড়ে থাকা পোড়া একটি গাড়ির গায়ে সে পুঁতে দিয়ে গেছে কালো পতাকা।
চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত¡শাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ভবনে এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পাতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। গত ২০ ফেব্র“য়ারি রাতের ওই অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে নয়জন এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
ঢাকায় পাইকারী পণ্যের বাজার চকবাজারে নিয়মিত যাতায়াত ছিল জারার বাবা কেএম শাহ নেওয়াজের। চকবাজার থেকে প্রসাধনী সামগ্রী কিনে চিটাগং রোডের দোকানে বিক্রি করতেন তিনি। স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে সোমবার সকালে তিনি চুড়িহাট্টায় আসেন শোক জানাতে। যেদিন ঘটনাটা ঘটল, সেদিনও আমি চকবাজারে এসেছিলাম ব্যবসার কাজে। আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছি। রাষ্ট্রীয় শোকের দিন তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসেছি।
জারার মা জাহানারা বলেন, সাত বছর বয়সী জারা সিদ্ধিরগঞ্জের একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ও হয়ত এখনও শোক ব্যাপারটা সেভাবে বোঝে না। কিন্তু বড় হয়ে নিশ্চয় বুঝতে পারবে। সেজন্যই জারাকে এখানে নিয়ে এসেছি।
রাষ্ট্রীয় শোকের অংশ হিসেবে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট, সচিবালয়সহ সব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত দেখা যায়। সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বুকে কালো ব্যাজও দেখা গেছে।