চীন-ইরান-রাশিয়ার যৌথ মহড়ায় থাকছে পাকিস্তান, মিয়ানমারও
চলতি মাসের শেষ দিকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে হতে যাওয়া যৌথ সামরিক মহড়ায় রুশ ও চীনা সৈন্যদের সঙ্গে ইরান, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, মিয়ানমার, পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশের সেনারা যোগ দিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
‘ককাস ২০২০’ মহড়ায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সৈন্যরা প্রতিরক্ষার কৌশল, শত্রুপক্ষকে ঘিরে ফেলা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড নিয়ে কাজ করবে বলেও বৃহস্পতিবারের ঘোষণায় জানিয়েছে তারা।
সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখ থেকে ছয় দিনব্যাপী এ যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।
এবারের মহড়ায় চীনা সৈন্যরা যেসব সাঁজোয়া যান ও হালকা অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করবে সেগুলো চীনের অত্যাধুনিক ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট দিয়ে মহড়াস্থলে নিয়ে যাওয়া হবে, জানিয়েছে বেইজিং।
দুই দশক আগে বেইজিং ও মস্কোর মধ্যে ‘বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ স্থাপনের পর থেকে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে।
উভয় দেশের মধ্যে একের পর এক যৌথ সামরিক মহড়া হচ্ছে; সিরিয়া-উত্তর কোরিয়াসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতেও জাতিসংঘে তারা অভিন্ন অবস্থান ব্যক্ত করে আসছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারী এবং দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটন ও এর মিত্র দেশগুলোর বিরোধ এবং সাম্প্রতিক চীন-ভারত সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ায় যৌথ সামরিক মহড়া পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
মহড়ায় ইরান, মিয়ানমার ও পাকিস্তানের সৈন্যদের অংশগ্রহণও মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মার্কিন মিত্রদেশগুলোর চোখ কপালে তোলার জন্য যথেষ্ট, বলছেন তারা।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দক্ষিণ চীন সাগরে একাধিক মহড়া চালিয়েছে চীন। তাইওয়ানের আশপাশে তাদের সামরিক কর্মকাণ্ডও অনেক বেড়েছে।