চীনে থাকা বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার পরামর্শ দূতাবাসের
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। শনিবার আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১৩০০ এর মতো। যে সংখ্যা এখন ২ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে নিহতের সংখ্যা ৪১ থেকে ৫৬ তে উন্নীত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে চীনে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার পরামর্শ দিচ্ছে দূতাবাস। হুবেই প্রদেশের উহান শহর ছাড়া অন্য শহর থেকে বিমানযোগে দেশে ফেরার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন দূতাবাসের উপ-প্রধান মাসুদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী উহানে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি আছেন। উহানে এখনও অচলাবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে বা চীনের অন্য কোনও স্থানে বাংলাদেশি কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে ঢাকায় জানিয়েছি আমাদের গবেষকরা যেন এই ভাইরাস সম্পর্কে গবেষণা করেন।’ মাসুদ বলেন, ‘আমরা চীন সরকারকে জানিয়েছি আমাদের লোকদের যেন বিশেষ যতœ নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত একজনও বিদেশি নাগরিক আক্রান্ত হয়নি। চীনের সরকার বাংলাদেশিসহ সব বিদেশিদের বিশেষ যতœ নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বেইজিংয়ে গতকাল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ছিল ৩৬ জন। আজ সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। এখানে রাস্তাঘাট জনমানবহীন তবে দোকান খোলা।’ বাংলাদেশ দূতাবাস কোনও খোঁজ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি ছাত্ররা। ছাত্রদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বেশিরভাগ অভিযোগ পাচ্ছি উহান শহর থেকে। কিন্তু শহরটি অচলাবস্থায় আছে। দূতাবাসে ২৪ ঘণ্টা হটলাইন সেবা দিচ্ছি। দূতাবাস কর্মকর্তারা পালাক্রমে ডিউটি দিচ্ছেন। আমরা শতাধিক লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি। এখানে জনপ্রিয় ওইচ্যাটে বাংলাদেশি গ্রæপ খোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা বড় জনগোষ্ঠীর কাছে অল্প সময়ে আমরা বার্তা দিতে পারছি।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে অভিযোগ করেছে যে উহানে দোকানপাট বন্ধ। কিন্তু আসল ঘটনা হচ্ছে ওই শহরে কয়েকটি বড় শপিং মল খোলা। যেখানে সব ধরনের জিনিস পাওয়া যাচ্ছে। ওই মলগুলোতে যাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে শাটল বাসেরও ব্যবস্থা আছে। কিন্তু গোটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চীনা ভাষায়। যে কারণে অনেকে বাংলাদেশি সেটি বুঝতে পারেনি।’