চীনে ‘কোয়ারেন্টিন শেষে’ ৪৪ জন বাংলাদেশে
বিশ্বজুড়ে মহামারী রূপ নেওয়া নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কেন্দ্রস্থল চীন থেকে ফ্লাইটে করে বাংলাদেশে এসেছেন ৪৪ জন, যাদের কাছে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদপূর্ণ করার সনদ রয়েছে বলে জানিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রাণঘাতী ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের মধ্যে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী চলাচল কমে যাওয়ার মধ্যে সোমবার সকালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট তাদের নিয়ে আসে।
বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচ এম তৌহিদ উল আহসান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীন থেকে আসা ৪৪ জনের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, বাকিরা চীনা নাগরিক।
“এরা সবাই চায়না থেকে হোম কোয়ারেন্টিন করে এসেছে মর্মে সনদপত্র নিয়ে এসেছে। এখনও তারা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন।”
এদিকে সোমবার দুপুর থেকেই যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপ থেকে যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। সরাসরি বা ট্রানজিট যে ফ্লাইটেই আসুক তাদের ফেরত পাঠানো হবে। এই নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
তৌহিদ বলেন, কোনো ট্রানজিট হয়ে ইউরোপের যাত্রীরা যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি থেকে নোটাম (নোটিস টু এয়ারম্যান) ইস্যু করা হয়েছে।
“সমস্ত এয়ারলাইন্সে এবং এয়ারপোর্টগুলোতে নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এয়ারপোর্টে মেকানিজম আছে। অ্যারাইভালে যাত্রীদের লাস্ট ইমিগ্রেশনগুলো চেক করা হবে।”
নতুন করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা দৈনিক অর্ধেকের মতো কমে গিয়ে ৩৮টিতে নেমেছে বলে তিনি জানান।