চীনের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের
চীনের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী চার সংসদ সদস্যকে বহিষ্কারের ঘটনাকে সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে বেইজিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিল ওয়াশিংটন।
বুধবার দিনের শুরুতে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গণতন্ত্রপন্থী চার সংসদ সদস্যকে বহিষ্কার করেন হংকংয়ের নির্বাহী। কিছুদিন আগেই বেইজিং একটি নতুন বিল পাস করেছে, যার ফলে আদালতের নির্দেশ না নিয়েই সংসদ সদস্যদের বহিষ্কার করার ক্ষমতা পেয়েছে সরকার।
ওই বিলে বলা হয়েছে, কোনও এমপি যদি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হন, তারা যদি হংকংয়ের স্বাধীনতার কথা বলেন এবং শহরটির ওপর চীনের সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করেন অথবা বিদেশি হস্তক্ষেপ কামনা করেন, তবে তাদের বহিষ্কার করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রিয়েন বলেন, হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী চার সংসদ সদস্যকে বহিষ্কারের ঘটনায় কোনো সন্দেহ নেই যে সেখানে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করছে।
তিনি বলেন, হংকংয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা হবে এবং তাদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র হংকংয়ের স্বাধীনতা দমনের অভিযোগে আরও চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এদিকে, হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী চার সংসদ সদস্যকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে একযোগে পদত্যাগ করেছেন বিরোধী দলীয় আরও ১৫ সংসদ সদস্য (এমপি)। শহরটির ৭০ সদস্যের পার্লামেন্টে তারাই ছিলেন অবশিষ্ট গণতন্ত্রপন্থী নেতা।
বুধবার হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী জোটের আহ্বায়ক উ চি-ওয়াই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজ আমরা পদত্যাগ করছি। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দয় পদক্ষেপে আমাদের অংশীদারদের, আমাদের সহকর্মীদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যদিও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ লড়াইয়ের জন্য আমরা অনেক সমস্যার মুখে রয়েছি, তারপরও কখনোই হাল ছাড়ব না।গণতন্ত্রপন্থী ওই নেতা জানান, আগামী বৃহস্পতিবার তারা পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
সম্প্রতি বহিষ্কার হওয়া ওই চার সংসদ সদস্য হলেন- সিভিক পার্টির আলভিন ইয়েয়ুং, কোওক কা-কি, ডেনিস কোওক এবং প্রফেশনালস গিল্ডের কেনেথ লিউং।
এর আগে, এই চারজনসহ মোট ১২ আইনপ্রণেতাকে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য ভোটের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।