চীনফেরত একজন জ্বর-সর্দি নিয়ে হাসপাতালে
নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে চীন থেকে জ্বর-সর্দি নিয়ে দেশে ফেরা এক যুবককে বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সে চীনের গুয়াংজু থেকে এসেছে। সে করনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা সেটা আমরা বলছি না। অতিরিক্ত সর্তকতা হিসেবে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে। তার রক্ত নেওয়া হয়েছে। সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। ওই সময়টা তাকে সেখানে রাখা হবে।”
তবে ওই ব্যক্তির জ্বর কমে গেছে এবং বিষয়টি নিয়ে ‘ভয়ের কিছু নেই’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে চীন থেকে আসা কারও মধ্যে অসুস্থতার লক্ষণ দেখা গেলে তাকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর সেজন্য কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে।
বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক শাহরিয়ার সাজ্জাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চীন থেকে আসা ওই যুবক পেশায় সফটওয়্যার প্রকৌশলী। বুধবার রাত ১১টার একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।”চীন থেকে আসার আগে সেখানে তাকে চেকআপ করা হয়েছিল। তাকে সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জ্বর থাকায় সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমরা স্যাম্পল কালেকশন করেছি। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে একটি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।”
ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় আইসোলেশন ইউনিটের বাইরে মুখে মাস্ক লাগানো দুজন আনসার সদস্য পাহারা দিচ্ছেন। কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক বা নার্সরা ওই যুবকের বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।