চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য ফেসশিল্ড তৈরি কুয়েট ছাত্রের
জয়নাল ফরাজী
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর দুর্যোগে চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য স্থানীয় উপকরণ দিয়েই ফেসশিল্ড তৈরি করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্র সুমিত চন্দ। প্রথম পর্যায়ে তিনি ১০০টি ফেসশিল্ড তৈরি করেছেন। যেগুলো বিনামূল্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ, মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীসহ সাংবাদিকদের মধ্যে বিতরণ করেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে সুমিত চন্দ জানান, হাঁচি-কাশির ড্রপলেটে করোনাভাইরাসের প্রধান ট্রান্সমিশন পথ চোখ এবং মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক এবং গগলস এর সাথে ফেসশিল্ড আরো একধাপ বেশি সুরক্ষা প্রদান করে চিকিৎসকদের। তবে দেশজুড়ে পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) থাকলেও ফেসশিল্ড নেই তেমন কোথাও। ফেসশিল্ডের অভাব নজরে আসার সাথেই মোংলার প্রাক্তণ ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিবেশকর্মী নুর আলমের সহযোগিতায় প্রথম পর্যায়ে ১০০টি ফেসশিল্ড তৈরি করে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। যার ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজের কাছে করোনা ইউনিটে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ফেসশিল্ড দেওয়া হয়েছে। ১০০টি ফেসশিল্ড তৈরি করতে খরচ পড়েছে ৬-৭ হাজার টাকা। কেউ তৈরি করতে চাইলে এর থেকে কম বা বেশিও লাগতে পারে।
তিনি জানান, মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ আব্দুল বাতেনের ছেলে শাহীন সাইফুল্লাহ এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবাসী চিকিৎসকের আর্থিক সহযোগিতায় ফেসশিল্ডগুলো তৈরি করা হয়েছে। মোংলায় অবস্থানরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা মিলে খুলনার বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জন্য শুক্রবার থেকে নতুন করে ফেসশিল্ড তৈরির কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও জানান, দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাইলেই অলস সময়ে উপাদানগুলো যোগাড় করে নিজের জেলায় চিকিৎসকদের অনেক উন্নতমানের মেডিকেল গ্রেড না হোক, চলার মত ফেসশিল্ড তৈরি করতে পারে। ঘরে বসে হাহাকার না করে প্রকৃত যুদ্ধে অবতীর্ণ চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে চাইলে এই ক্ষুদ্র পদক্ষেপ টুকু সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিতেই পারে। ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে সাড়া পাওয়ায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।