চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল আরও একবছর
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
গেল জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ কিছু কাজ বাকী থাকায় সাভারের ‘চামড়া শিল্পনগরী’ শীর্ষক প্রকল্পটির মেয়াদ আবারও একবছর বাড়িয়েছে সরকার। এর ফলে ২০০৩ সালের জুনে শুরু হওয়া প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ এখন আঠারো বছরে গিয়ে দাঁড়ালো। এর আগে ২০১৭ সালে তৃতীয় সংশোধনীতে প্রকল্পটির মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০১৯ সালে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির চতুর্থ সংশোধনীতে সায় মেলে। তবে মেয়াদ বাড়লেও প্রকল্পটির ব্যয় ৬৩ কোটি টাকা কমিয়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)। তাই প্রকল্পটির ব্যয় এক হাজার ৭৮ কোটি থেকে এক হাজার ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় নেমে এসেছে।
একনেক বৈঠকে এই প্রকল্পটিসহ চার হাজার ৬১১ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ের নয়টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে তিনি চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে বলেন, “প্রকল্পটির সংশোধনী অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চতুর্থবার সংশোধন হল, আর যেন সংশোধনী প্রস্তাব না আসে।
প্রধানত পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতেই সাভারে চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হল। এখন এই শিল্পনগরীর বর্জ্য এমনভাবে ব্যবস্থাপনা করা হবে যাতে পাশের নদী কোনোভাবে দূষিত না হয়।
আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পটির এসটিপির অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করা, মেইন গেইট নির্মাণ, প্রশাসনিক কার্যালয়ের লিফট স্থাপন, স্ট্রিট লাইট স্থাপন এবং তিনটি ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
মঙ্গলবারের একনেক বৈঠকে যেসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেগুলো ব্যয়ভার মেটারে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে চার হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে ২৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা যোগান দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ, এর ব্যয় ৩৯২ কোটি টাকা। মোংলা বন্দরের আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ৪০১ কোটি টাকা। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় এক হাজার ২২৮ কোটি টাকা।
ফরিদপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, এতে ব্যয় বেড়েছে ৬০ কোটি টাকা। ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ প্রকল্প, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১৫৯ কোটি টাকা।
মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসির জন্য অফিসার্স মেস ও বিওকিউ নির্মাণ প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ১৫৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। হাওড় এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪৪ কোটি টাকা। দেশ বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান প্রকল্প, ২৬৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।