চাকরির প্রলোভনে কিশোরীকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পেয়ে ঢাকার উত্তর মুগদা মদিনাবাগের একটি বাসা থেকে ঐ কিশোরীকে উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত হেলেনা বেগম (৪২) নামে একজনকে আটক করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত দুইজনের নাম উলেখ করে কিশোরীর দুলাভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আটক হেলেনা বেগম পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানাধীন উত্তর মিঠাখালী গ্রামের তাহের মৃধার মেয়ে এবং বাবুল সরদারের স্ত্রী। পলাতক অপর আসামি মনির হোসেন জামাল (৩৮) বরগুনার নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের উলা পদ্মা (বাবুগঞ্জ) গ্রামের ইউসুফের ছেলে। মনির এ চক্রের মূল হোতা বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ২৫ জুন সকালে ঐ কিশোরী গার্মেন্টস-এ চাকরির উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত আদমজী ইপিজেড এলাকায় যায়। সেখান থেকে বেলা ১১টায় পলাতক আসামি মনির চাকরির লোভ দেখিয়ে কৌশলে ঐ কিশোরীকে ঢাকার উত্তর মুগদা মদিনাবাগ এলাকার হাজ্বী আব্দুল জব্বারের ভাড়া বাসায় (৩৮/ক) নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে হেলেনা বেগমের সহযোগিতায় মনির কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে। অতঃপর হেলেনা বেগম ও মনিরের যোগসাজসে ঐ কিশোরীকে মারধর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। ধর্ষিতার আত্মীয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪ জুলাই রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম হোসেন অভিযান চালিয়ে ঐ বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম হোসেন জানায়, অপহরণের পর ধর্ষণ ও পতিতাবৃত্তি করানোর অভিযোগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি হেলেনা বেগমকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতার হেলেনা বেগমসহ পলাতক আসামিরা একটি অপহরণকারী চক্র। এ চক্র চাকরি প্রার্থী মেয়েদের কৌশলে অপহরণ করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে বলে গ্রেফতারকৃত হেলেনা বেগম প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।