চাকরির আবেদন ফি বাড়লো
সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন ফি বাড়িয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ থেকে পরিপত্র ইস্যু করা হয়েছে, যা রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেছেন উপসচিব বেগম মোছা. নারগিস মুরশিদা।
পরিপত্র অনুযায়ী— এখন থেকে নবম গ্রেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ফি হবে ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা। দশম গ্রেডের আবেদন ফি আগের মতো ৫০০ টাকা রাখা হয়েছে।
১১ ও ১২তম গ্রেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ফি ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা। আগে গ্রেড দুটির চাকরির আবেদন ফি নির্ধারণ করা ছিল না। আর ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ফি বাড়িয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ২০০ টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ফি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া পরিপত্রে কয়েকটি শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তা হলো:
>> টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন ও পরীক্ষা ফি গ্রহণ করা যাবে এবং পরীক্ষা ফি বাবদ সংগৃহীত অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডকে দেওয়া যাবে।
>> টেলিটকের মাধ্যমে পরীক্ষা ফি বাবদ অর্থ গ্রহণের পর ৩ কার্যদিবসের দিবসের মধ্যে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমা দেওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা করবে, তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ওই অর্থ নিজস্ব ব্যাংক হিসেবে জমা করতে পারবে।
>> অনলাইন আবেদন গ্রহণ না করা হলে পরীক্ষা ফি বাবদ অর্থ চালানের মাধ্যমে নিতে হবে। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডারে এ অর্থ নিতে পারবে।
>> পরীক্ষা ফি বাবদ আদায় করা অর্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৩ ডিজিট প্রাতিষ্ঠানিক কোড এবং ৭ ডিজিট নতুন অর্থনৈতিক কোড ১৪২২৩২৬ এ অটোমেটেড চালানে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে।
>> কোনো প্রতিষ্ঠান ম্যানুয়াল চালানে (টিআর ফরম) পরীক্ষা ফি জমা করতে চাইলে ১- প্রাতিষ্ঠানিক কোড (চার অংক বিশিষ্ট) পরিচালনা কোড (চার অংক বিশিষ্ট)- অর্থনৈতিক কোড (২০০১) এ জমা করতে হবে।