চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলামকে হত্যার দায়ে নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত আলী পাঁচ বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। শাহবাজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ।
তাকে হত্যার দায়ে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিবগঞ্জ উপজেলার বালিয়াদিঘী গ্রামের আখেরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, চতুরপুর গ্রামের তোহরুল ইসলাম ওরফে টুটুল, রসিকনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ও সিরাজুল ইসলাম ওরফে সেন্টু, সাহাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, চরভবানীপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ, পারচৌকা গ্রামের মোহাম্মদ মাসুদ ও ছত্রাজিতপুরের আব্দুস সালামকে প্রাণদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
আর যাবজ্জীবন সাজার আদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন- মহারাজপুরের মাসুদ ওরফে লালচাঁন ও রাজশাহীর বেলপুকুর গ্রামের পারুল বেগম। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডের নয় আসামিকে দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। যাবজ্জীবন প্রাপ্তদের দুই লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে মো. মাসুদ, আব্দুস সালাম ও পারুল বেগম পলাতক রয়েছে; বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রামাণিত না হওয়ায় চারজনকে এ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয় বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা জানান। খালাস পাওয়া চারজন হলেন-বালিয়াদিঘী গ্রামের সেলিম রেজা, বেনাউল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম ও ওবাইদুর রহমান।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর দুপুরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখেরুল ইসলামসহ আসামিরা কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলামকে তার শিয়ালমারা গ্রামের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের কাছে মনিরুলকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় তার স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান সিদ্দিকী ২০১৫ সালের ১৫ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচার শুরু করে আদালত।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের টাকা ভাগাভাগি ও ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে আসামিরা মনিরুলকে হত্যা করে বলে জানানো হয় পুলিশের অভিযোগপত্রে।