চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণচেষ্টায় স্বদেশ বাসের হেলপার গ্রেফতার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে ঢাকার গুলিস্তান রুটে চলাচলকারী স্বদেশ পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চালকের হেলপার নিরবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১০ জুনের ওই ঘটনার পর নিরব পলাতক হলেও শুক্রবার বিকেলে ঢাকার সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে তাকে গণপিটুনি দেয় জনতা।
নিরব সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে। সে ধর্ষণচেষ্টা মামলার দ্বিতীয় আসামি। মামলার প্রথম আসামি চালক শামীম আগেই গ্রেফতার হয়েছে। ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ওই কিশোরগঞ্জের ওই তরুণী বাদী হয়ে গত ১১ জুন মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তিনি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় ডাচ-বাংলা প্যাকেজিং নামের একটি ফ্যাক্টরিতে সুয়িং অপারেটর হিসেবে কর্মরত আছেন। ঈদের ছুটি কাটিয়ে কিশোরগঞ্জের সদর থানার খিলপাড়া থেকে গত ১১ জুন রাত ৯টার দিকে গুলিস্তানে এসে গজারিয়ায় যাওয়ার জন্য স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। পরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় এসে সব যাত্রী নেমে যান। ওই তরুণী যাত্রীদের সঙ্গে নেমে যাওয়ার সময় চালক শামীম ও হেলপার নিরব তাকে মেঘনাঘাট নামিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। সেখান থেকে এগিয়ে আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় যাওয়ার পর হেলপার নিরবকে বাস চালাতে দিয়ে চালক ওই তরুণীকে পেছনের সিটে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালাতে থাকেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা নিউটাউন শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় স্বদেশ পরিবহনের বাসটি (ঢাকা মেট্টো-ব-১১-৭২৬৫) দেখে থামাতে বললে গাড়িটি আরও দ্রুতগতিতে চালানো হয়। ওই বাস থেকে তখন সেই তরুণীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পান ব্যবসায়ীরা। তখন জনতা গাড়িটি থামিয়ে দেখতে পান, চালক শামীম ওই তরুণীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিলেন। এসময় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে চালক শামীমকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। তবে কৌশলে হেলপার নিরব ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তিনদিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার সায়দাবাদ থেকে নিরবকে গ্রেফতার করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাওহিদ উলাহ জানান, নিরবের রিমান্ড চেয়ে শনিবার (১৫ জুন) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।