September 29, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

চলতি মাসেই সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে পদ্মাসেতু

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই পদ্মাসেতুতে বসছে ৩০তম স্প্যান। চলতি মাসের শেষের দিকে জাজিরা প্রান্তের ২৬-২৭ নম্বর পিলারের উপর বসানো হবে ‘৫বি’ স্প্যান। ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য আর তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি স্থায়ীভাবে বসিয়ে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৪ হাজার ৫০০ মিটার।

আগামী শনিবার (৩০ মে) টার্গেট করেই প্রকৌশলীরা বর্তমানে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন। সম্প্রতি স্প্যানটির পেইন্টিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আনুষঙ্গিক কিছু কাজ শেষে প্রস্তুত হবে বসানোর জন্য। এদিকে, ৩১ তম স্প্যানটি পেইন্টিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে, যা ২৫-২৬ নম্বর পিলারের উপর বসানো হতে পারে ১৫ জুনের মধ্যে। ৩০-৩১তম এই দুইটি স্প্যান বর্ষা মৌসুমের আগে বসানো সম্ভব হলে জাজিরা প্রান্তের সব স্প্যান বসানো শেষ হবে।

পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, অস্বাভাবিক ও দুর্যোগকালীন সময়েও প্রকল্পের পরামর্শক, ঠিকাদার, দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, নির্মাণ শ্রমিক ও ঊধ্র্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই মাসের শেষ দিকে সেতুর ৩০তম স্প্যান জাজিরা প্রান্তে ২৬-২৭ পিলারের উপর বসানো হবে। ইতোমধ্যে স্প্যানটির পেইন্টিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে হ্যান্ড রেল, স্টেয়ার, ব্যালান্স লোড স্থাপনের কাজ চলছে। অন্যদিকে, ৩১তম স্প্যানটির বর্তমানে পেইন্টিং কাজ চলমান। জুন মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ৩১তম স্প্যানটিও ২৫ ও ২৬ নম্বর পিলারের উপর বসানো সম্ভব হবে।

প্রকৌশলীরা জানান, বর্তমানে পদ্মাসেতুতে ২৯টি স্প্যান বসিয়ে দৃশ্যমান আছে ৪ হাজার ৩৫০ মিটার। সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের এবং দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *