চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট আইন সংশোধন বিল পাস
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়ার বিধান যুক্ত করে আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন (সংশোধন) বিল, ২০১৯’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর বিরোধী দলীয় একাধিক সদস্যের জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি করা হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের গভর্নিং বডিতে সংশ্লিষ্ট বরেণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতি ইনস্টিটিউটকে সমৃদ্ধ করবে। গণমাধ্যম ব্যক্তিদের কাজের অধিক্ষেত্র বিস্তৃত বিধায় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত এই ইনস্টিটিউটের কার্যাবলির সাথে গণমাধ্যম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি অধিকতর সঙ্গতিপূর্ণ হবে।
দিনের কার্যসূচিতে বিলটি পাসের কথা থাকলেও তথ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বিল পাসের কার্যক্রম প্রথমে স্থগিত ঘোষণা করেন অধিবেশনের সভাপতি ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। কিন্তু এরই মধ্যে তথ্যমন্ত্রী অধিবেশনে প্রবেশ করেন এবং স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মন্ত্রীর অনুরোধে স্পিকার বিলটি উত্থাপনের সুযোগ দেন।
বিলটি উত্থাপন করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়ে সংসদে ফিরতে গিয়ে যানজটের কবলে পড়েন তিনি। সে কারণেই সংসদে ঢুকতে দেরি হয়েছে।
তার এই বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, সংসদের কাজের তুলনায় অন্য কাজ কোনো মন্ত্রী বা এমপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। মন্ত্রীর ‘অজুহাতের’ প্রতিবাদে বিলের ওপর জনমত যাচাইয়ে বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন তিনি।
পরে ফখরুল ইমামের এই বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই সবার আগে সংসদের কাজ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সংসদ থেকে দশ মিনিটের দূরত্বে ছিলেন। এক ঘণ্টা আগে রওয়ানা হয়েও সময়মত পৌঁছাতে পারেননি। এর কারণ যানজট। ঢাকায় আজ বৃষ্টি হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ দিন। এ কারণেই যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এদিন ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) বিল ২০১৯’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দুই সপ্তাহের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।